উদয়পুর, ১২ সেপ্টেম্বর : প্রণয়ের জেরে যুবতীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অপরাধে বেধড়ক মারধরে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ও উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনা অমরপুর মহকুমার চেলাগাং গ্রামে। নিহত যুবকের নাম গৌতম দাস। বয়স ২১ বছর।
চেলাগাং এর বাসিন্দা ২১ বছরের যুবক গৌতম দাস ভালবেসে এক যুবতীকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে মেয়েটিকে নিয়ে সাব্রুম মহকুমার হরিনা এলাকায় গৌতমের মামার বাড়িতে নিয়ে যায়। এদিকে মেয়েকে শনিবার বাড়ির লোকেরা না পেয়ে নতুনবাজার থানায় একটি মামলা করে। পুলিশ মামলা নিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধারের জন্য তদন্ত শুরু করে। সোমবার দিন পুলিশ খবর পায় ছেলে এবং মেয়ে দুজনেই সাব্রুম থানাধীন হরিনা এলাকায় ছেলের মামার বাড়িতে অবস্থান করছে।
নতুন বাজার থানার পুলিশ খবর পেয়ে ছুটে যায় সাব্রুম থানায়। সেদিন রাতে নতুনবাজার থানা এবং সাব্রুম থানা যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে মেয়ে এবং ছেলে দুজনকে উদ্ধার করতে সমর্থ্য হয়। উদ্ধার করে মেয়েটিকে তাদের পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে নতুন বাজার থানায় নিয়ে আসে ছেলেটিকে। ছেলেটির পরিবারে অভিযোগ থানায় নিয়ে এসে পুলিশ নির্যাতন চালায়।
পরবর্তী সময়ে সোমবার শালিশি বিচারের নামে গৌতমের উপর আবার অত্যাচার চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন পরিবারের লোকজন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে গৌতম দাস। পরবর্তী সময়ে গৌতমকে অসুস্থ অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে গোমতী জেলা হাসপাতালে ও পরবর্তী সময়ে জিবি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার বিকেলে গৌতম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। বৃহস্পতিবার মৃতদেহ চেলাগাং এ নিয়ে যাওয়া হলে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।