খোয়াই, ১৪ মার্চ।। উৎপাদনশীলতা বাড়িয়ে রাজ্যকে খাদ্যে স্বয়ম্ভর করে তোলার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বেশি ফসল উৎপাদন করার জন্য জমির মাটি পরীক্ষা করা খুবই প্রয়োজন। এজন্য রাজ্য সরকার বিভিন্ন জায়গায় মৃত্তিকা পরীক্ষা কেন্দ্র গড়ে তুলছে। আজ খোয়াই মহকুমা কৃষি তত্ত্বাবধায়কের কার্যালয়ে মৃত্তিকা পরীক্ষাগারের উদ্বোধন করে একথা বলেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী রতনলাল নাথ।
মৃত্তিকা পরীক্ষাগারের উদ্বোধন করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, একজন কৃষকের জমিতে অধিক ফসল উৎপাদনের জন্য কিসের অভাব রয়েছে তা মাটি পরীক্ষা করেই জানা সম্ভব। এজন্য অরুন্ধতীনগর, গোমতী, ধলাই, উত্তর ত্রিপুরা ও আজ খোয়াই জেলাতে মৃত্তিকা পরীক্ষাগার চালু করা হলো। তাছাড়া রাজ্যে ৩টি ভ্রাম্যমান মৃত্তিকা পরীক্ষাগারও রয়েছে। গত ৬ বছরে রাজ্যে ১ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮৭৬ জন কৃষককে মাটি পরীক্ষা করে সয়েল হেলথ কার্ড দেওয়া হয়েছে।
আগামী অর্থবছরে আরও ৩০ হাজার কৃষককে সয়েল হেলথ কার্ড দেওয়া হবে। কৃষিমন্ত্রী জানান, খোয়াই কৃষি মহকুমায় ১১ হাজার ১৭৯ হেক্টর চাষযোগ্য জমি রয়েছে। কৃষক রয়েছেন ৮ হাজার ৯৮৩ জন। কিষাণ সম্মাননিধি প্রকল্পে ৩ হাজার ৭৪ জন কৃষকের অ্যাকাউন্টে ইতিমধ্যে ৯ কোটি ৪২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আগামীদিনে এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা গড়ে তুলতে খোয়াই জেলার কৃষকদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে খোয়াই জিলা পরিষদের সভাধিপতি জয়দেব দেববর্মা কৃষি জমির মাটি পরীক্ষার সুবিধা গ্রহণ করতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানান। বক্তব্য রাখেন জিলা পরিষদের কর্মবিষয়ক স্থায়ী কমিটির সভাপতি সুব্রত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন জিলা পরিষদের সহকারি সভাধিপতি হরিশংকর পাল। সভাপতিত্ব করেন খোয়াই পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান তাপস দাস। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কৃষি ও কৃষক কল্যাণ দপ্তরের অধিকর্তা শরদিন্দু দাস।