বক্সনগর, ২৯ ফেব্রুয়ারী।। বাপের বাড়িতে গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু। ঘটনায় একদিকে যেমন শোকাহত গৃহবধুর পিতা মাতা ও আত্মীয়-স্বজন,অপরদিকে চাঞ্চল্য বিরাজ করছে গোটা এলাকায়।ওই গৃহবধূর নাম পলি রানী বণিক। বয়স ২২ বছর। গৃহবধুর পিতা- খগেন বনিক, বাড়ি উত্তর মহেশপুর স্কুল টিলা এলাকায়।
জানা গিয়েছে, চার বছর আগে খগেন বাবু তার মেয়ে পলি রানী বণিককে সিপাহীজলার ধনপুর বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বড় নারায়ণের অঞ্জন দাসের সাথে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিনিয়ত মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ মা-বাবার কাছে জানাত। এর মধ্যে সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমান বয়স তিন বছর।
উল্লেখ্য,গত ২৯ শে জানুয়ারি সকালবেলায় গৃহবধূর স্বামী অঞ্জন দাস লাঠিপেটা করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। সমস্ত শরীর মহিলার রক্তাক্ত হয়। খবর পেয়ে গৃহবধুর বাবা ছুটে যায় বড়নারায়ণ। ওখানে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় মেয়েকে এবং ছোট্ট শিশুকে নিয়ে আসে যাত্রাপুর থানায়।যাত্রাপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করে স্বামীর বিরুদ্ধে। দীর্ঘ এক মাস যাবত ওই স্বামী কোন খোঁজ খবর না নিয়ে মোবাইলে গৃহবধূকে হুমকি দিতে থাকতো।
কিন্তু গৃহবধূর বাবা উন্নত চিকিৎসার জন্য টাকা পয়সা খরচ করার মতো আর্থিক ভাবি অনেকটাই অক্ষম। মাথায় এমনই আঘাত ছিল যে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে চিকিৎসা করার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু গৃহবধুর বাবার আর্থিক অক্ষমতার কারণে স্বাভাবিক চিকিৎসা চালিয়ে যাচ্ছিল। গৃহবধূর রাত্রে ঘুম হত না মাথার যন্ত্রণায়। এতটাই গুরুতর আঘাত পেয়েছিল বৃহস্পতিবার বিকেল দুইটার দিকে ফাঁসি দিয়া আত্মহত্যা করে ঘরের পেছনে গিয়ে।
এই খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে গৃহবধুর বাবার বাড়ির আশেপাশের লোকজন ভিড় জমায়। খবর যায় যাত্রাপুর থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ইন্সপেক্টর অর্পনা দেবনাথের নেতৃত্বে খগেন বণিকের বাড়িতে যায়। পুলিশ একটি মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।