কদমতলা, ২৫ ফেব্রুয়ারী।। উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলা থানাধীন সাতসঙ্গম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক যুবককে বিবস্ত্র করে মেরে গোটা শরীর রক্তাক্ত করল একই পরিবারের বাবা ছেলে কাকা সহ অন্যান্য আত্মীয়রা।
জানা গিয়েছে, কদমতলা থানাধীন রানিবাড়ি এসপিও ক্যাম্পের ইনচার্জ সঞ্জয় মুন্ডা দুপুর প্রায় বারোটা নাগাদ সাতসঙ্গম গ্রাম পঞ্চায়েতের দুই নং ওয়ার্ডের রানীবাড়ি দক্ষিণ লাইন এলাকার বাসিন্দা কুস আকুরা ওরফে ছঠেলের বাড়িতে তার সহকর্মীদের নিয়ে পৌঁছে দেখতে পান কুস আকুরা ওরফে ছঠেলের ছেলে সহ সহযোগী আত্মীয়রা মিলে একই গ্রাম পঞ্চায়েতের সাত নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অনুপ দাস (২৭) কে বিবস্ত্র করে বেধড়ক ভাবে মারধর করছে। আর সেই মারে অনুপের গোটা শরীর কেটে রক্ত পড়ছে।
তড়িঘড়ি আহত যুবককে উদ্ধার করে খবর দেন বজেন্দ্রনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকা ১০২ এম্বুলেন্সে। তৎক্ষণাৎ এম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পৌঁছলে গুরুতর ভাবে আহত যুবককে নিয়ে যাওয়া হয় বজেন্দ্রনগর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয় ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে। আহত যুবকের পিতা সমরেন্দ্র দাস জানিয়েছেন, তিনি ঘটনার সময় আসামের বাজারিছড়ায় ছিলেন। পরে খবর পেয়ে এসেছেন। তিনি আজ কদমতলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এদিকে আহত যুবক বর্তমানে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।সে কথাবার্তা বলতে পারছে না বলেও খবর। অপরদিকে লিখিত অভিযোগ পেয়ে শনিবার রাতেই এই ঘটনার সাথে অভিযুক্ত চারজনকে আটক করেছে কদমতলা থানার পুলিশ। গোটা ঘটনায় রানিবাড়ি দক্ষিণ লাইন এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য বিরাজ করছে। দাবি উঠেছ অভিযুক্তদের কঠোর থেকে কঠোরতর শাস্তি প্রদানের।
ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ কদমতলা থানায় ছুটে আসেন উত্তর জেলায় পুলিশ সুপার ভানুপদ চক্রবর্তী। পুলিশ সুপার জানান ইতিমধ্যে কদমতলা থানার পুলিশ একটি মামলা গ্রহণ করেছে সুনির্দিষ্ট ধারায়। যার নম্বর ১০/২৪ কদমতলা থানা । চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা হলেন যথাক্রমে কূশ আকুরা (৫০) পিতা মৃত গনেশ আকুরা, লব আকুরা (৫০) পিতা মৃত গনেশ আকুরা,পান্না আকুরা (১৮) পিতা কূশ আকুরা, সমরজিৎ আকুরা (২৪) পিতা সাধন আকুরা। আগামীকাল তাদের জেলা আদালতে প্রেরণ করা হবে।