তেলিয়ামুড়া, ২৯ জানুয়ারি।। পাট্টা প্রাপকদের অতিসত্বর ডিমারকেশন প্রদানের দাবি সহ বন্যহাতির তাণ্ডব থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার জন্য প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে- এই দুই দাবির উপর ভিত্তি করে অসম আগরতলা জাতীয় সড়কের মুঙ্গিয়াকামীতে অবরোধে শামিল জনজাতি অংশের মানুষজন।
গত বেশ কিছুদিন ধরেই তেলিয়ামুড়া মহকুমার কৃষ্ণপুর, মুঙ্গিয়াকামী সহ সন্নিহিত এলাকার সাধারণ মানুষরা বন্য হাতির তাণ্ডবে একপ্রকার দিশাহীন অবস্থায় দিন গুজরান করছে। প্রায় প্রতি রাতেই বন্য হাতির দল পালা করে তাণ্ডব চালিয়ে সর্বসান্ত করছে এলাকাবাসীদের। যদিও সাম্প্রতিক অতীতে ২৯ কৃষ্ণপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তথা রাজ্যের জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও কোন প্রকারের পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি প্রশাসন। ফলে সোমবার বাধ্য হয়ে রাজ্যের প্রধান বিরোধীদল তিপ্রামথার নেতৃত্বে মুঙ্গিয়াকামী বাজারে জাতীয় সড়ক অবরোধ।
অবরোধকারীদের বক্তব্য হচ্ছে, জনজাতি সম্প্রদায়ের লোকজনদের যেখানে পাট্টা প্রদান করা হয়েছিল অনতিবিলম্বে সেই পাট্টা গুলোর ডিমারকেশন করে দিতে হবে এবং বন্য হাতির তাণ্ডব থেকে রক্ষা করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণে প্রশাসনকে এগিয়ে আসতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে পাট্টার ক্ষেত্রে ডিমারকেশন কেন প্রদান করা হচ্ছে না? এই ব্যাপারে অবরোধ স্থল থেকে প্রশ্ন উঠার পাশাপাশি বন্য হাতির তাণ্ডব রুখতে প্রশাসন কেন বলিষ্ঠ ভূমিকা গ্রহণ করছে না?
এনিয়ে মুঙ্গিয়াকামীর অবরোধ স্থল থেকে ব্যাপক উষ্মা প্রকাশ করা হয়।
যদিও বেশ কিছুক্ষণ অবরোধ চলার পর মহকুমা শাসক অভিজিৎ চক্রবর্তীর নিকট এক মেমোরেন্ডাম প্রদানের পর প্রশাসনিক হস্তক্ষেপে অবরোধ মুক্ত হয় জাতীয় সড়ক। তবে সোমবারের এই অবরোধে ব্যাপক সংখ্যক সাধারণ কর্মী সমর্থকদের পাশাপাশি তিপ্রামথা’র নেতৃত্ব মনিহার দেববর্মা, মহেন্দ্র দেববর্মা প্রমুখদের উপস্থিত থাকতে দেখা গেছে। তবে সব মিলিয়ে দীর্ঘ প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পর অসম আগরতলা জাতীয় সড়কের মুঙ্গিয়াকামী এলাকায় অবরোধ মুক্ত হয়।