তেলিয়ামুড়া / গন্ডাছড়া, ১৯ জানুয়ারি।। ৪৬তম ককবরক দিবস পালিত হয় ত্রিপুরার বিভিন্ন জায়গায়। খোয়াই জেলার তেলিয়ামুড়ার সুদ্দকরকরী স্বসহায়কদল হুকুমু বাদলের পক্ষ থেকে শুক্রবার এক বর্ণাঢ্য রেলির আয়োজন করা হয়েছে। এই দিনের রেলিতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক তথা ২৮ তেলিয়ামুড়া বিধানসভা কেন্দ্রের বিদায়িকা কল্যাণী সাহারায় সহ অন্যান্যরা।
ককবরক ত্রিপুরার জনজাতি অংশের একটি জাতির মাতৃভাষা এবং ত্রিপুরা রাজের আদি ভাষা ককবরক। ১৯৭৯ সালের ১৯ জানুয়ারীতে ত্রিপুরা রাজ্যের একটি সরকারি ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করায় প্রতিবছর এই দিনে ককবরক দিবস পালিত হয়। জনজাতি গোষ্ঠীর জন্য ককবরক ভাষাকে আগামীদিনে আরও শক্তিশালী করা হবে। শুধু তাই নয়, তাঁদের জন্য সরকার শিক্ষা থেকে শুরু করে সমস্তকিছু অগ্রাধিকারের ভিক্তিতে দেখছে। ককবরক ভাষা দিবসে একথা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলেন রাজ্য বিধানসভার মুখ্য সচেতক কল্যাণী সাহা রায়।
ত্রিপুরায় ৪৬ তম ককবরক ভাষা দিবস সাড়ম্বরে উদযাপিত হচ্ছে। শুক্রবার সকালেএই উপলক্ষ্যে একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে তেলিয়ামুড়া সুদ্দকরকরী এলাকায়। রাজ্যের বিভিন্ন জনজাতি গোষ্ঠীর মানুষ সহ বিভিন্ন স্কুল কলেজের ছাত্র ছাত্রীরা।
অন্যদিকে, ককবরক দিবস উপলক্ষে ব্যাপক উদ্যোগ নেয় ধলাই জেলার অন্তর্গত গন্ডাছড়া মহকুমা প্রশাসন। ওইদিন বেলা এগারোটা নাগাদ মহকুমার বিভিন্ন স্কুল এবং কলেজের ককবরকভাষী ছাত্রছাত্রী এবং সংশ্লিষ্ট মহকুমার বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে মহকুমা শাসকের অফিস চত্বর থেকে একটি রেলী বের হয়ে গন্ডাছড়া মহকুমার বিভিন্ন পথ পরিক্রমা করে টাউন হল -এ পৌঁছায়। টাউন হল অনুষ্ঠিত হয় মূল অনুষ্ঠান।
শুক্রবারের ওই ককবরক দিবসের রেলী এবং আলোচনা চক্র অনুষ্ঠানে দলমত নির্বিশেষে সকল অংশের ককবরকভাষী সমাজ সেবক ও সেবিকারা উপস্থিত ছিলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন ককবরক ভাষী সমাজ সেবিকা নন্দিতা রিয়াং দেব্বর্মা, ককবরক ভাষী প্রেমসাধন ত্রিপুরা, ধনঞ্জয় ত্রিপুরা, পতি ত্রিপুরা এবং ডিসিএম দিলীপ দেব্বর্মা সহ অন্যান্যরা। দিনটির তাৎপর্য ব্যাখ্যা করে আলোচনা চক্রে বক্তব্য রাখেন সমাজসেবী নন্দিতা রিয়াং দেব্বর্মা, প্রেমসাধন ত্রিপুরা, ধনঞ্জয় ত্রিপুরা এবং ডিসিএম দিলীপ দেব্বর্মা সহ অন্যান্যরা।