দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলাকে ‘মারাত্মকভাবে বিকৃত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল

অনলাইন ডেস্ক, ১৩ জানুয়ারি।। গাজায় হামলা ও ফিলিস্তিনিদের গণহত্যা নিয়ে নেদারল্যান্ডসের দ্য হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দক্ষিণ আফ্রিকার করা মামলাকে ‘মারাত্মকভাবে বিকৃত’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরায়েল।গাজায় হামলার মূল লক্ষ্য হামাসকে নির্মূল, সাধারণ জনগণ নয় বলে জানিয়েছে দেশটি। শুক্রবার আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানি শেষে আত্মপক্ষ সমর্থনের সময় এসব কথা জানায় দেশটি। পৃথক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি ও রয়টার্স।

শুক্রবার এ মামলার শুনানি চলাকালে ইসরায়েলের পক্ষের আইনজীবী তাল বেকার বলেন, দুঃখজনকভাবে দক্ষিণ আফ্রিকা আদালতের সামনে ঘটনার বাস্তব ও ন্যায়সংগত চিত্রকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করেছে। এ সময় তিনি গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার ভয়াবহতার কিছু ভিডিও ও ছবি উপস্থাপন করেন। বেকার বলেন, ‘হামাস সদস্যরা মা-বাবার সামনে সন্তানদের নির্যাতন করেছেন, সন্তানদের সামনে মা-বাবাকে নির্যাতন করেছেন, মানুষ পোড়াচ্ছেন…পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ ও অঙ্গচ্ছেদ করেছেন।’

এই আইনজীবীর দাবি, আত্মরক্ষার জন্যই ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালিয়েছে। গাজা উপত্যকার ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা এ হামলার লক্ষ্য ছিলেন না। শুনানিতে ইসরায়েলের আইনজীবীরা আরও বলেন, হামাসের সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। গাজায় হামলা বন্ধের কোনো কারণই থাকতে পারে না। কারণ এর জন্য হামাস দায়ী।

গাজায় গণহত্যা চালানোর অভিযোগ এনে গত ডিসেম্বরে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আইনজীবী প্রিটোরিয়ার অভিযোগ, এর মধ্য দিয়ে ইসরায়েল জাতিসংঘের গণহত্যাবিষয়ক কনভেনশন লঙ্ঘন করছে।গত বৃহস্পতিবার শুনানির প্রথম দিনে নিজেদের অভিযোগের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন দক্ষিণ আফ্রিকার আইনজীবীরা। প্রিটোরিয়া চায়, বিচারকেরা যেন গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে ইসরায়েলকে চাপ দেন।

এদিকে আইসিজেতে করা দক্ষিণ আফ্রিকার মামলাটিকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এমন মন্তব্য করেছেন। জার্মানিও আইসিজেতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আনা গণহত্যার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। জার্মান সরকারের মুখপাত্র স্টেফেন হেবেস্ট্রাইট এক বিবৃতিতে বলেন, ৭ অক্টোবর হামাস ইসরায়েলে ‘অমানবিক’ হামলা চালানোর পরই ইসরায়েল ‘আত্মরক্ষায়’ পদক্ষেপ নিয়েছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *