প্রধানমন্ত্রী উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন : কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী

আগরতলা, ৮ জানুয়ারি।। বিগত দশ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এতে ত্রিপুরা সহ উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে। আজ পঞ্চায়েতী রাজ মন্ত্রকের রাজ্যস্তরীয় পর্যালোচনা সভার শেষে আগরতলার রাজ্য অতিথিশালায় এক সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতীরাজ প্রতিমন্ত্রী কপিল মোরেশ্বর পাতিল একথা বলেন।

কেন্দ্রীয় প্রকল্পের অধীনে রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে উন্নয়ন পরিলক্ষিত হচ্ছে এতে সন্তোষ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, রেগা, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা, এনআরএলএম, গ্রাম স্বরাজ প্রভৃতি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়ণের মাধ্যমে রাজ্যের জনগণকে বিভিন্ন সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতীরাজ প্রতিমন্ত্রী জানান, স্বসহায়ক দলের মহিলা সদস্যাদের লাখপতি দিদি বানানোর লক্ষ্য অনুযায়ী রাজ্যের ৮০,০০০ বেশি মহিলা লাখপতি দিদি হয়েছেন। স্বসহায়ক দলের সাথে যুক্ত অবশিষ্ট মহিলাদেরও দেড় বছরের মধ্যে লাখপতি দিদি বানানোর জন্য রাজ্য সরকারের প্রচেষ্টা জারি রয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, স্বামিত্ব প্রকল্পটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। কেননা, এতদিন গ্রামীণ এলাকায় যাদের জমির মালিকানা বা প্রপার্টি কার্ড ছিলনা এই প্রকল্পের মাধ্যমে তা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রকল্প রূপায়ণের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে। তিনি বলেন, রেগা প্রকল্পেও রাজ্যে খুব ভাল কাজ হয়েছে। তেমনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায়ও রাজ্যে ভাল কাজ হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার সুবিধাভোগীদের আবাস নির্মাণ করে দেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পে পানীয় জল, বিদ্যুৎ, শৌচালয় ইত্যাদি মৌলিক পরিষেবাও সুনিশ্চিত করছে। তাছাড়া রাজ্য সরকারের ‘আমার সরকার’ পোর্টালের কাজের প্রশংসা করে তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকায় ঘরে ঘরে গিয়ে সমস্যা সমাধানের এবং পোর্টালে কাজের তথ্য প্রকাশ করার যে উদ্যোগ তা খুবই অভিনব। এতে ভাল কাজ করার জন্য গ্রাম বা ব্লকগুলির মধ্যে যে ইতিবাচক প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরী হচ্ছে তারও তিনি প্রশংসা করেন। তাছাড়া তিনি শিশুদের উপযোগী গ্রাম বানানোর জন্য ‘বাল সভা’ করার উদ্যোগ এবং পঞ্চায়েতগুলিতে ১০০ শতাংশ ইউপিআই-এর মাধ্যমে পেমেন্ট প্রদানের বিষয়েরও তিনি প্রশংসা করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে এক প্রেস নোটে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক থেকে ত্রিপুরার জন্য ৪১২ লক্ষ ঘর মঞ্জুর হয়েছে। তার মধ্যে ইতিমধ্যে ৩.১৫ লক্ষ ঘর নির্মাণ শেষ হয়েছে। এই প্রকল্পের শুরু থেকে রাজ্যে এবাবদ ৪.৫২৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তার মধ্যে গত ১৮ মাসে খরচ হয়েছে ২.৭৮১ কোটি টাকা। টিআরএলএম এর মাধ্যমে মোট ৫১,৪১২টি স্বসহায়ক দল গঠন করা হয়েছে। যার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৪,৬৬,৮৭৯ জন মহিলা। তাছাড়াও ২, ১৩১ ভিলেজ অর্গানাইজেশন এবং ১০৮টি ক্লাস্টার লেভেল ফেডারেশন গঠন করা হয়েছে। চতুর্দশ অর্থ কমিশনের গ্রান্টস হিসেবে ২০২০-২১ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের এখন পর্যন্ত অ্যাসপিরেশন্যাল ডিস্ট্রিক্ট হিসেবে ধলাই জেলাকে ৭১৭৭.৪৭০২২ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *