সোনামুড়া, ৪ জানুয়ারি।। সিপাহীজলা জেলার সোনামুড়ার তামসাবড়ি এলাকার কয়েকটি কাঠের দোকানে রহস্যময় হানা বন দপ্তরের সোনামুড়া মহকুমা আধিকারিকের।জানা গিয়েছে, সোনামুড়া মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় বিস্তৃত সংরক্ষিত বনাঞ্চলে গড়ে উঠা গাঁজা বাগান ধ্বংস করতে একপ্রকার মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে পুলিশ, বিএসএফ, টি.এস.আর সহ একাধিক বাহিনী। প্রতিদিন কোথাও না কোথাও চলছে এই গাঁজা বিরোধী অভিযান। এদিকে সন্ধ্যারাতে শহরের কয়েকটি কাঠের দোকানে অভিযান চালিয়ে হম্বিতম্বির অভাব নেই সোনামুড়া মহকুমা বন আধিকারিক সুমিত দেবের।
বনকর্মীদের নিয়ে সন্ধ্যারাতে সোনামুড়া শহরের তামাসাবাড়ি এলাকায় কয়েকটি কাঠের দোকানে অভিযান চালান এই বন আধিকারিক। এই অভিযানের খবর সংগ্রহ করতে গেলে সোনামুড়ার কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও ছবি তুলতে বাঁধাদান করতে থাকেন তিনি। কোন ছবি তোলা হয়েছে কি না? প্রথমে এক সাংবাদিকের মোবাইলের গ্যালারি পর্যন্ত চেক করেন এই বীরপুঙ্গব মহকুমা বন আধিকারিক। পরে সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিবাদী হয়ে ঘটনার ছবি তুলতে শুরু করলে পিছু হটেন তিনি।
মোসলেম মিয়া নামের এক কাঠের দোকানের মালিক জানিয়েছেন সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পর ডাকাতের ন্যায় তার দোকানের দরজা ভেঙে দোকানে থাকা কাঠ নিয়ে যায় মহকুমা বন আধিকারিকের নেতৃত্বে বনদপ্তরের কর্মীরা। অপরাধ তার বাবার অসুস্থতার কারণে দোকানের লাইসেন্সের মেয়াদ পেরিয়ে যাওয়া। লাইসেন্স মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ায় দোকান বন্ধই রেখে আসছেন তিনি। তারপর তার কোন কথা কোন আবেদন শুনেননি মহকুমা বন আধিকারিক।
কেন এই অভিযান ? কত পরিমান কাঠ বাজেয়াপ্ত হয়েছে এই অভিযান থেকে ? কতটা দোকানে চলেছে এই অভিযান ? কোন তথ্য বা বক্তব্যই সংবাদ মাধ্যমের কাছে দিতে চাননি মহকুমা বন আধিকারিক। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেরই অনুমান যে পরিমান কাঠ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এই অভিযান থেকে তার পুরুটা সরকারি খাতায় না দেখিয়ে হাপিস করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে এই মহকুমা বন আধিকারিকের। তাই সংবাদ মাধ্যম ও সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান তিনি।