আগরতলা, ১৪ ডিসেম্বর।। রাজধানী আগরতলা শহরে ছাত্রীনিবাসে ফাঁসিতে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীর৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রীনিবাসের অন্যান্য আবাসিকদের মধ্যে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ ওই ছাত্রী কি আত্মহত্যা করেছে নাকি অন্য কোন বিষয় রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷
জানা গিয়েছে, আগরতলা শহরের সুপারীবাগানে অনঙ্গ মোহিনী ছাত্রীনিবাসে শেয়ারী জমাতিয়া নামে তেলিয়ামুড়ার এক ছাত্রী আবাসিক হিসবে থাকত৷ সে শহরের একটি স্কুলে পড়াশুনা করত৷ বুধবার রাত সাড়ে নয়টা নাগাদ শেয়ারী জমাতিয়ার ঝুলন্ত মৃতদেহ সহপাঠীরা প্রথমে দেখতে পায়৷ সাথে সাথেই হোস্টেলের ইনচার্জকে জানানো হয়৷ তিনি সেখানে গিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পান৷ পরে খবর দেওয়া হয় পশ্চিম আগরতলা মহিলা থানায়৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়৷ এদিকে, খবর পেয়ে জনজাতি কল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বিকাশ দেববর্মাও ছাত্রীনিবাসে যান৷ সেখানে গিয়ে পুলিশ এবং হোস্টেলের ইনচার্জের সাথে কথা বলেন৷
পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছে৷ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷ হোস্টেল ইনচার্জ জানিয়েছে, রাতের খাবারের জন্য সবাই যখন ডাইনং হলে গিয়েছিল৷ তখনই নিজের ঘরেই ফাঁসিতে আত্মহত্যা করে শেয়ারী জমাতিয়া৷ অন্যান্য ছাত্রীরা খাবার সেড়ে সাড়ে নয়টা নাগাদ কক্ষে গিয়ে দেখতে পায় শেয়ারির ঝুলন্ত মৃতদেহ৷ কেন আত্মহত্যার ঘটনা এপ্রসঙ্গে সঠিক কোন কিছু জানা না গেলেও হোস্টেলের ইনচার্জ জানিয়েছে পারিবারিক ঝামেলা থাকতে পারে৷ কারণ কিছুদিন আগে ওই ছাত্রীর মা অন্য পুরুষের সাথে পালিয়ে গিয়েছে পরকীয়া করে৷ হয়তো তাতেই কোন না কোন ভাবে শেয়ারীর মন খারাপ থাকতে পারে৷
পশ্চিম আগরতলা মহিলা থানার পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে৷ বৃহস্পতিবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর নিকটাত্মীয়দের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে৷ সহপাঠীর এই মৃত্যুতে ছাত্রীনিবাসের অন্যান্য আবাসিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে৷ এদিকে, জনজাতি কল্যাণমন্ত্রী বিকাশ দেববর্মা শেয়ারী জমাতিয়ার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন৷