স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৩ সেপ্টেম্বর।। ত্রিপুরা সরকার দক্ষতা বৃদ্ধির মধ্য দিয়ে বেকার যুবক-যুবতীদেরকে আত্মনির্ভর করে তোলার সাপেক্ষে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। যাতে করে নতুন নতুন সেক্টরে দক্ষতার সাথে কাজ করতে পারে। বুধবার দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তরের উদ্যোগে সংকল্প, সমার্থ ও জলজীবন মিশনে সদ্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১১৫ জন সুবিধাভোগীদেরকে আনুষ্ঠানিক শংসাপত্র প্রদান করা হয়। এদের মধ্যে ২০ জন নার্স মেইড (আয়া), ১৫ জন ট্রেডিশন্যাল আর্টিসন এবং প্লাম্বার জেনারেল ও অ্যাসিস্টেন্ট ইলেকট্রিশিয়ান মিলিয়ে ৮০ জন রয়েছে।
আগরতলা সরকারি মেডিক্যাল কলেজের ৪ নং হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা এমআইএস অ্যাপ্লিকেশন সিস্টেমেরও উদ্বোধন করেন। এখন থেকে ওয়েব পোর্টালের মাধ্যমে দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তরের দক্ষক্ষতা বাস্তুতন্ত্রের মাধ্যমে চলমান প্রতিদিনের সমস্ত কার্যকলাপের ডাটা সংগ্রহ করা হবে এবং স্কিল ইন্ডিয়া পোর্টালের সাথে যথাযথভাবে একত্রিত করা হবে।
শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী সান্ত্বনা চাকমা বলেন, দক্ষতা উন্নয়নের মধ্য দিয়ে সরকার বেকার যুবক যুবতীদের স্বনির্ভর করে তোলার উদ্যোগ নিয়েছে। এই কর্মসূচিতে ইতিমধ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই উদ্যোগী হয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে সব ক্ষেত্রের কাজেই দক্ষতার প্রয়োজন। তিনি আশা ব্যক্ত করেন, আজকে যারা প্রশিক্ষণের শেষে শংসাপত্র পেয়েছেন, তারাও আগামীদিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাফল্যের সাথে কাজের মধ্য দিয়ে আত্মনির্ভর হয়ে উঠবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে শিল্প ও বাণিজ্য দপ্তরের প্রধান সচিব কে এস শেঠি, এনএসআইসিএর জোনাল জেনারেল ম্যানেজার বিজয় প্রকাশ, এজিএমসিও জিবিপি হাসপাতালের এমএস ডা. শংকর চক্রবর্তী, দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তরের অধিকর্তা সঞ্জয় চক্রবর্তী, এজিএমসির প্রিন্সিপাল প্রফেসর অরূপ কুমার সাহা, ডা. সমৰ্পিতা দত্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।