স্টাফ রিপোর্টার, উদয়পুর, ১৩ সেপ্টেম্বরের।। ছাত্রীকে স্কুলে পৌঁছে দেয়ার নাম করে বাইকে করে নিয়ে গিয়ে জঙ্গলে রেখে ধর্ষণের অভিযুক্ত যুবককে দোষী সাব্যস্ত করল আদালত এবং একাধিক ধারায় সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদন্ডে দন্ডিত করা হয়েছে। বুধবার উদয়পুরের সেশান জজ এই রায় ঘোষণা করেন। আসামিী নাম শামীম আহমেদ।
মামলার বিবরণে জানা গিয়েছে, ১৮ই মার্চ ২০২১ সালের ১৮ মার্চ উদয়পুর বনদুয়ার এলাকার এক নাবালিকা মেয়ে বিদ্যালয়ে যাবার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়ে আসে। উদয়পুর মহারানীর হীরাপুর এলাকার আমির হোসেনের ছেলে শামীম আহমেদ বাইকে করে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দেবার নামকরে নাবালিকা মেয়েটিকে টেপানিয়া পার্কের পাশে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।
পরবর্তী সময়ে মেয়েটি বাড়িতে এসে তার মাকে সব ঘটনা বলে। সঙ্গে সঙ্গে নাবালিকার মা উদয়পুর মহিলা থানায় মামলা দায়ের করেন আমির হোসেনের বিরুদ্ধে। মহিলা থানার মামলায় নম্বর ১৪/২১। মামলা হয় ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৬৩/৩৭৬/৫০৬ এবং পক্সো আইনে ৪ নং ধারায়।উদয়পুর মহিলা থানার পুলিশ মামলা নিয়ে তদন্ত শুরু করে এবং আসামিকে গ্ৰেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করে। দীর্ঘ শুনানি চলে আদালতে।
আদালত ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য বাক্য গ্ৰহন করে বুধবার উদয়পুরে স্পেশাল জজ আসামী শামীম আহমেদকে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩৬৩ ধারায় তিন বছরের জেল সাথে তিন হাজার টাকা জরিমানা ও অর্থ অনাদায়ে দুই মাসের জেল। ৫০৬ ধারায় ছয় মাসের জেল সাথে একহাজার টাকা জরিমানা ও অর্থ অনাদায়ে এক মাসের জেল এবং পক্সো আইনে কুড়ি বছর জেল ও সাথে দশহাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ছয়মাসের সাজা ঘোষনা করেন। প্রসঙ্গত, এই মামলার তদন্তকারী অফিসার ছিলেন উদয়পুর মহিলা থানার এস আই পূর্নিমা দাশ সরকার। সরকারি আইনজীবী ছিলেন পল্টু দাশ।