স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৬ জুন।। বাংলা সাহিত্যের এক উজ্জ্বল নাম বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। সাহিত্য জগতে অবাধ বিচরণের পাশাপাশি তিনি দেশবাসীকে দেশপ্রেমেও উদ্বুদ্ধ করেছেন। আজ সন্ধ্যায় রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২নং হলে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ১৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে একথা বলেন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার।
তিনি বলেন, কেন্দ্রে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের যথাযথ সম্মান জানানো হচ্ছে। দলমতের উর্দ্ধে উঠে বিভিন্ন মনীষীদের শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে। তিনি বলেন, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সাহিত্য জগতকে নানাভাবে সমৃদ্ধ করে গেছেন। তাঁর সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্ম যত বেশি জানতে পারবেন তত তারা উপকৃত হবেন।
স্বাগত ভাষণে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী বলেন, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় এক বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছেন। বাংলা সাহিত্যে তাঁর বিরাট অবদান রয়েছে। বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রাসঙ্গিকতা আজও সমানভাবে বিদ্যমান। সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের জীবন এবং সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করেন ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারি অধ্যাপক ড. নির্মল দাস এবং ধর্মনগর সরকারি ডিগ্রি কলেজের বর্ণালী চক্রবর্তী।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা বিম্বিসার ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে বঙ্কিমচন্দ্ৰ চট্টোপাধ্যায়ের ১৮৫তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অনুষ্ঠান উপলক্ষে আয়োজিত বসে আঁকো। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের শংসাপত্র দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানের অতিথিগণ তাদের হাতে শংসাপত্র তুলে দেন। অনুষ্ঠানে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও শ্রুতি নাটক পরিবেশিত হয়।