স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৫ জুন।।ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত ২০২৩ সালের মাধ্যমিক, মাদ্রাসা আলিম এবং উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা ফাজিল পরীক্ষার ফলাফল আজ প্রকাশিত হয়েছে। দুপুরে পর্যদের মিলনায়তনে সভাপতি ড. ভবতোষ সাহা এক সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৬.০২ শতাংশ এবং উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় পাশের হার ৮৩.২৪ শতাংশ।
জেলান্তরে মাধ্যমিকে সর্বোচ্চ পাশের হার গোমতী জেলায়। এই জেলায় পাশের হার ১২.৩০ শতাংশ। সর্বনিম্ন পাশের হার উত্তর ত্রিপুরা জেলায়। এই জেলায় পাশের হার ৭৭.৮০ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিকে জেলান্তরের সর্বোচ্চ পাশের হার সিপাহীজলা জেলায়। এই জেলার পাশের হার ৮৮.৬০ শতাংশ। সর্বনিম্ন পাশের হার ধলাই জেলায়।
এই জেলায় পাশের হার ৬৯.৯৬ শতাংশ। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার গ্রেড এ-১ পেয়েছে ১৩০ জন, গ্রেজ এ-২ পেয়েছে ৭৮ জন, গ্রেড বি-১ পেয়েছে ১৯২৬ জন। মাধ্যমিক পরীক্ষায় গ্রেড ৩-১ পেয়েছে ৩৯১ জন, গ্রেড -২ পেয়েছে ১,০৫০ জন, গ্রেড বি-১ পেয়েছে ২,১২২ জন। সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যন সভাপতি আরও জানান, এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী। ছিল ৩৮,১২৯ জন। যার মধ্যে ছাত্র ১৭.১৩৯ জন, ছাত্রী ২০, ১৮৯ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের পরীক্ষার্থী ১ জন। মাধ্যমিকের পরীক্ষা কেন্দ্র ছিল ৭৭টি। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল। ৩০,৪৫০ জন। যার মধ্যে ছাত্র ১৫,৫১২ জন ছাত্রী ১৭.৬১ জন।
উচ্চমাধ্যমিকে মোট পরীক্ষা। কেন্দ্র ছিল ৬৪টি। এছাড়া ১২১ জন মাদ্রাসা আলিম, ১৪ জন মাদ্রাসা ফাজিল আর্টস, ৪৮ জন মাদ্রাসা ফাজিল থিওলজিতে পরীক্ষার্থী ছিল। এক্ষেত্রে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৬টি, ১টি এবং ৩টি। তিনি আরও জানান, ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের এলাকাভুক্ত বিদ্যালয়গুলিতে মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১১,২৩৮ জন। এরমধ্যে পাশ করেছে ১৯,৫৮২ জন। পরীক্ষায় বসেনি ১১৩ জন। পাশের হার ৮৪.৯ শতাংশ। এদের মধ্যে গ্রেড এ-১ পেয়েছে ২৪ জন, গ্রেজ 2 পেয়েছে ১২৫ জন, গ্রেড বি-১ পেয়েছে ৩৫৮ জন। ত্রিপুরা উপজাতি এলাকা স্বশাসিত জেলা পরিষদের এলাকাভুক্ত বিদ্যালয়গুলিতে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মোট পরীক্ষার্থী। ছিল ৭৮৭২ জন। এরমধ্যে পাশ করেছে ৬,০৮৩ জন।
পরীক্ষায় বসেনি ৮১ জন। পাশের হার ৭.২৭ শতাংশ। এদের মধ্যে গ্রেড এ-১ পেয়েছে ৬ জন গ্রেড এ-২ পেয়েছে ৫২ জন, গ্রেড বি-১ পেয়েছে ২১৯ জন। জেলান্তরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় সর্বোচ্চ পরীক্ষার্থী ছিল পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার এবং সর্বনিম্ন পরীক্ষার্থী ছিল যথাক্রমে খোয়াই ও উনকোটি জেলায়। মহকুমান্তরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে সর্বোচ্চ পাশের হার করবুক মহকুমায় এবং সর্বনিম্ন পাশের হার যথাক্রমে পানিসাগর ও লংতরাইভ্যালি মহকুমায়।
সাংবাদিক সম্মেলনে পর্যন সভাপতি ড. ভবতোষ সাহা আরও জানান, এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষায় ২১৪টি স্কুলের এবং উচ্চমাধ্যমিকে ১৯টি স্কুলের ১০০ শতাংশ ছা পাশ করেছে। উল্লেখ্য, ত্রিপুরা মধ্যশিক্ষা পর্ষদ পরিচালিত উচ্চমাধ্যমিক ও মাদ্রাসা ফাজিল পরীক্ষা গত ১৫ মার্চ থেকে শুরু হয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত এবং মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা আলিম পরীক্ষা ১৬ মার্চ আরম্ভ হয়ে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলে। সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পর্যদ সচিব ড. দুলাল দে, উপসচিব শুভাশিস চৌধুরী প্রমুখ।