৪৪ তম বর্ষে পা দিয়েছে বিজেপি, কার্যকর্তাদের উদ্দেশে কি বললেন মোদি! পাড়ুন এই প্রতিবেদন

অনলাইন ডেস্ক, ৬ এপ্রিল।। ৪৪ তম বর্ষে পা দিয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল। বিজেপির এই বর্ষপূর্তি উপলক্ষে এদিন দেশজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। নয়া দিল্লির সদর দফতর থেকে বিজেপি-র কার্যকর্তাদের উদ্দেশে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিজেপির কার্যালয় থেকে নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ সম্প্রচার করা হয়। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে ভাষণের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রথমে সকলকে হনুমান জয়ন্তীর শুভেচ্ছা জানান।

প্রধানমন্ত্রী দলের নেতা-কর্মীদের কাছে পবনপুত্র হনুমানের মতো কঠোর হাতে রাক্ষস দমনের আবেদন জানান। গত ৪৩ বছরে বিজেপির নেতা-কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলেই দল আজ মহীরুহে পরিণত হয়েছে বলে দাবি করেন মোদী। তাঁর কথায়, ‘‘২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপিকে কেউ হারাতে পারবে না। কিন্তু আমাদের দেশের প্রতিটি নাগরিকের হৃদয় জয় করতে হবে।’’দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেও মোদীর নিশানায় ছিল ‘কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র’।

সেই সঙ্গে স্বাধীনতা আন্দোলনের ঐতিহ্যবাহী শতাব্দীপ্রাচীন দলকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ছাড়লেও ওদের গোলামির মানসিকতার ইতি হয়নি।’’ কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি ‘বাদশাহি’ মানসিকতা এবং মানুষের সমস্যা উপেক্ষা করার অভিযোগও তুলেছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিজেপি দিন-রাত এক করে দেশের জন্য কাজ করছে। আমাদের দল মা ভারতীর প্রতি উৎসর্গ। সংবিধান ও দেশ রক্ষায় ব্রতী বিজেপি।

তিনি বিজেপির প্রতিষ্ঠা দিবসে সমস্ত কর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, কর্মীরা রক্ত-ঘাম ঝ়ড়িয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন বলেই আমরা দেশ সেবা করার সৌভাগ্য পেয়েছি। তিনি বলেন, বিজেপি ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস এবং সবকা প্রার্থনা’ এই মন্ত্র নিয়ে কাজ করছে। তাঁর সরকারের সাফল্যের তালিকা দিতে গিয়ে প্রথমেই জম্মু ও কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের কথা বলেছেন মোদী।

তার কথায়, ‘‘কাশ্মীরে শান্তির সূর্যোদয় হয়েছে।’’ আগামী ৬ বছর পরে বিজেপির ৫০ বছর পূর্তিতে নতুন সাফল্যের নতুন লক্ষ্যমাত্রা স্থির করার পক্ষেও সওয়াল করেছেন তিনি। সাংগঠনিক কার্যকলাপে প্রযুক্তির আরও সাহায্য নেওয়ার কথাও বলেছেন। বিনামূল্যে রেশন, চিকিত্সা এবং শৌচালয় প্রকল্পের উদ্ধৃতি দিয়ে, প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, বিজেপির জোর সামাজিক ন্যায়বিচারের উপর।

বিজেপি সামাজিক ন্যায়বিচারের চেতনাকে আক্ষরিক অর্থে অনুসরণ করে। ৪০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পাওয়া সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিফলন। বৈষম্য ছাড়াই ৫ লাখ টাকা থেকে ৫০ কোটি দরিদ্র মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পায়েছে। এটা সামাজিক ন্যায়বিচারের একটি শক্তিশালী অভিব্যক্তি।

বৈষম্য ছাড়াই ৪৫ কোটি দরিদ্রের জন ধন অ্যাকাউন্ট খোলা সামাজিক ন্যায়বিচারের অন্তর্ভুক্তিমূলক এজেন্ডার একটি জীবন্ত উদাহরণ। ১১ কোটি মানুষকে শৌচালয় দেওয়া সামাজিক ন্যায়বিচার। তুষ্টি এবং বৈষম্য ছাড়াই, বিজেপি প্রকৃত অর্থে সামাজিক ন্যায়বিচারের উদ্দেশ্য উপলব্ধি করার জন্য একটি সমার্থক শব্দ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। আজ, ভারত সমুদ্রের মতো বিশাল চ্যালেঞ্জগুলি অতিক্রম করতে এবং মোকাবিলা করতে আগের চেয়ে অনেক বেশি সক্ষম।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *