স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ১৪ জানুয়ারি৷৷ রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের জন্য ডিজিটাল লাইবেরি চালু করেছে৷ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও শিক্ষকদের দিয়ে পাঠক্রম ও সিলেবাস ভিত্তিক ই-কনটেন্ট তৈরি করা হয়েছে, যাতে শিক্ষার্থীরা অডিও-ভিডিও পদ্ধতিতে পড়াশুনা করতে পারে৷
আজ এক সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ দপ্তরের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান৷ তিনি বলেন, এই ডিজিটাল লাইবেরির জন্য ৯,১২০টি ট্যাব কেনা হয়েছে৷ রাজ্যের উচ্চ এবং উচ্চতর মাধ্যমিক স্তরের ৩০৪টি বিদ্যালয়ের লাইবেরির জন্য ৩০টি করে ট্যাব দেওয়া হবে৷ প্রত্যেকটা সুকল ৩০টা করে ট্যাব পাবে৷ আগামী ১৭ই জানুয়ারি থেকে প্রতিটি বিদ্যালয়ে তা পাঠানো হবে৷ এর জন্য ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকা৷ তিনি জানান, প্রতিটি ট্যাব নিয়ম মেনে ’জেম’ প্রক্রিয়ায় কেনা হয়েছে৷ প্রতিটি ট্যাবের দাম, ১০,৯১৫ টাকা৷
পশ্চিম জেলায় ৭২টি, সিপাহীজলায় ৩৯টি, খোয়াই জেলায় ২৪টি, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৩৪টি, গোমতী জেলায় ৩৯টি, দক্ষিণ ত্রিপুরা জেলায় ৪২টি, ধলাই জেলায় ২৯টি এবং ঊনকোটি জেলায় ২৫টি বিদ্যালয়ে ডিজিটাল লাইবেরি চালু হচ্ছে৷ যে সমস্ত সুকলে এক্সপার্ট টিচার নেই সেই সমস্ত সুকলে এই ট্যাবের মাধ্যমে পাঠদান, পাঠগ্রহণ সুুবিধাজনক হবে৷ শিক্ষার্থীরাও সহজে অডিও-ভিডিও’র মাধ্যমে নিজেদের পাঠক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা নিয়ে এগিয়ে যেতে পারবে বলে শিক্ষামন্ত্রী শ্রীনাথ জানান৷
শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী ২৭ জানুয়ারি দিল্লির তালকোটরা স্টেডিয়ামে আয়োজিত ’পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে রাজ্যের ৪ জন ছাত্রছাত্রী অংশ নেবে৷
ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা ভীতি দূর করতে প্রধানমন্ত্রী ’পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে সরাসরি অংশ নেবেন এবং মতবিনিময় করেবন৷ তিনি জানান, ছাত্রছাত্রীদের জন্য ৮টি বিষয়ে অনলাইনে ক্রিয়েটিভ কম্পিটিশনের আয়োজন করা হয়েছিল৷ রাজ্যের ৩২,৭০৫ জন ছাত্রছাত্রী এই কম্পিটিশনে অংশ নিয়েছিল৷ এদের মধ্যে ২ জন ছাত্রছাত্রীকে বাছাই করে তাদেরকে নয়াদিল্লিতে মূল অনুষ্ঠানে দপ্তর থেকে পাঠানো হচ্ছে৷
দক্ষিণ নলছড় বিদ্যালয়ের স্নেহা দাস এবং গোমতী জেলার বিলিয়ান্ট স্টার সুকলের ছাত্র বিজয় শর্মা এই অনুষ্ঠানে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করবে৷ এছাড়াও ওড়িশায় আয়োজিত জাতীয় কলা উৎসবে পুরস্কারপ্রাপ্ত মৌমিতা সরকার ও রিয়া গাঙ্গলী দিল্লিতে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান এবং ’পরীক্ষা পে চর্চা’ অনুষ্ঠানে অংশ নেবে৷
সাংবাদিক সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার সবকা সাথ সবকা বিকাশে বিশ্বাসী৷ এজন্যই মুসলিম সংখ্যালঘু সম্পদায়ের ৭ শতাংশ সম্পতি টেট-১ এবং টেট-২’র মাধ্যমে চাকুরি পেয়েছে৷ এর আগে চাকুরিতে ১ শতাংশ মুসলিম সংখ্যালঘু সুুযোগ পাননি৷ যদিও রাজ্যের জনসংখ্যার ৮ শতাংশ মুসলিম সংখ্যালঘু সম্পদায়ের৷ সকল সম্পদায়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই এই সরকারের লক্ষ্য বলে শিক্ষামন্ত্রী জানান৷