মন্ত্রিসভার বৈঠকে ২০০ ইঞ্জিনিয়ারের পদ পূরণ ও টেকনো ইণ্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চালুর অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২ ডিসেম্বর৷৷ রাজ্যের কৃষকদের কাছ থেকে চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে নূ্যনতম সহায়ক মূল্যে ৩৫ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে৷ প্রতি কেজি ২০ টাকা ৪০ পয়সা দরে এই ধান কেনার ফলে রাজ্য সরকারের ব্যয় হবে ৮৭ কোটি ৩ লক্ষ টাকা৷

আজ সচিবালয়ে প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংসৃকতিমন্ত্রী সুুশান্ত চৌধুরী গতকাল অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান৷ তিনি জানান, রাজ্যে নতুন সরকার আসার পর ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ১৭ টাকা ৫০ পয়সা নূ্যনতম সহায়ক মূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা শুরু করে৷ বর্তমানে এই মূল্য করা হয়েছে ২০ টাকা ৪০ পয়সা৷ এখন পর্যন্ত কৃষকদের কাছ থেকে মোট ১ লক্ষ ৩১ হাজার মেট্রিকটন ধান ক্রয় করা হয়েছে৷ তাতে মোট ব্যয় হয়েছে ২৪৩ কোটি ৯৯ লক্ষ টাকা৷

তথ্য ও সংসৃকতিমন্ত্রী মন্ত্রিসভার বৈঠকের আরও কিছু সিদ্ধান্তের কথা জানাতে গিয়ে বলেন, পূর্ত দপ্তরের অধীনে ১০০ জন গ্রপ-এ জনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এবং ১০০ জন গ্রপ-বি জনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের পদ পূরণ করা হবে৷ সিভিল, মেকানিক্যাল এবং ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের জন্য এই পদ পূরণ করা হবে৷ তিনি জানান, কিছুদিন পূর্বেও মন্ত্রিসভার বৈঠকে ১০০ জন গ্রপ-এ জনিয়র ইঞ্জিনিয়ার এবং ১০০ জন গ্রপ-বি জনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের পদ পূরণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল৷ সে পদগুলির সঙ্গেই নতুন এই ২০০ জন জনিয়র ইঞ্জিনিয়ারের পদ সংযোজন করে টিপিএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে৷

তিনি আরও জানান, অগ্মি নির্বাপক দপ্তরের অধীনে কিছুদিন পূর্বে ফায়ারম্যান এবং ড্রাইভার পদের জন্য শারীরিক পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে৷ শারীরিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার জন্য জেআরবিটি’র মতো ৪ সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকে৷ তথ্যমন্ত্রী জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যে টেকনো ইণ্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয় চালু করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে৷

তিনি জানান, টেকনো ইণ্ডিয়া গ্রপ পরিচালিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজ্যের ছেলেমেয়েরা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, নার্সিং, সাংবাদিকতা, কৃষি, আয়ুষ, যোগা, বৃত্তিমূলক শিক্ষা ইত্যাদি বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার সুুযোগ পাবে৷ টেকনো ইণ্ডিয়া গ্রপের সাথে এ বিষয়ে শীঘই রাজ্য সরকারের মৌ স্বাক্ষরিত হবে বলে তথ্য ও সংসৃকতিমন্ত্রী জানান৷ তথ্যমন্ত্রী জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্য সরকারের গ্রপ-এ এবং গ্রপ-বি কর্মচারিদের বহির্রাজ্যে চিকিৎসার ক্ষেত্রে রেফারের বাধ্যবাধকতা না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷

ফলে এখন থেকে গ্রপ-এ এবং গ্রপ-বি কর্মচারিরা রেফার ছাড়াই বহির্রাজ্যে গিয়ে রাজ্য সরকারের অনুমোদিত হাসপাতালে চিকিৎসা করে সঠিক বিল জমা দিলে মেডিক্যাল রিএমবার্সমেন্ট পাওয়ার সুুযোগ পাবেন৷ এছাড়াও সরকারি কাজে গিয়ে কোন গ্রপ-এ এবং গ্রপ-বি কর্মচারি অসুুস্থতা বোধ করলে রাজ্য সরকারের অনুমোদিত হাসপাতালে চিকিৎসা করলে তার ক্ষেত্রেও একই সুুযোগ থাকবে৷

তিনি জানান, গ্রপ-সি এবং গ্রপ-ডি কর্মচারিদের জন্য শুধুমাত্র ক্যান্সার এবং হৃদরোগ সংক্রান্ত চিকিৎসার ক্ষেত্রে এই সুুযোগ প্রযোজ্য হবে৷ এছাড়াও মন্ত্রিসভার বৈঠকে অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিদের ৫ বছরে মেডিক্যাল রিএমবার্সমেন্ট ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৫০ হাজার টাকা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলনে জানান৷

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *