স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২২ নভেম্বর।। উত্তর পূর্বাঞ্চলের আইন শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে আজ আগরতলার প্রজ্ঞাভবনে উত্তর পূর্বাঞ্চলের পুলিশ মহানির্দেশক ও আই জি-দের নিয়ে দু’দিনব্যাপী ২৭তম সম্মেলনের সূচনা হয়েছে। আজ সকালে মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা সম্মেলনের উদ্বোধন করেন। আগামীকাল এই সম্মেলনের সমাপ্তি হবে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের মুখ্যসচিব জে কে সিনহা, রাজা পুলিশের মহানির্দেশক অমিতাভ রঞ্জন ছাড়াও উত্তর পূর্ব ভারতের সবকটি রাজ্যের পুলিশ মহানির্দেশক, আই জি, কেন্দ্রীয় সরকারের আই বি সংস্থা, নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো সহ বিভিন্ন স্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। সম্মেলনের উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডাঃ) মানিক সাহা সাংবাদিকদের জানান, উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে মায়ানমার হয়ে চোরা পথে ড্রাগস প্রবেশ করছে।
আবার ত্রিপুরাতেও বিভিন্ন রাজ্য তথা দেশের বাইরে থেকে ড্রাগস প্রবেশ করছে। ড্রাগসের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সরকার জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করছে। উত্তর পূর্বাঞ্চলের সবকটি রাজ্যের সঙ্গে ত্রিপুরাও ড্রাগসের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, এই সম্মেলনে মূলত ড্রাগস পাচার রোধে কার্যকরি পদক্ষেপের জন্য উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি পরিকল্পনা গ্রহণ করবে। তাছাড়াও মাদক সংক্রান্ত সমস্যার সমাধান, সন্ত্রাসবাদ, অবৈধ অনুপ্রবেশের বিষয়েও সম্মেলনে আলোচনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, উত্তর পূর্বাঞ্চলের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি ঘটেছে। আগের মতো উত্তর পূর্বাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদের কালো অধ্যায় প্রায় নেই।
তিনি জানান, রাজ্যের প্রায় সব সীমান্ত এলাকায় ফ্যান্সিং-এর কাজ হয়ে গেছে, যা কিছু বাকী রয়েছে সেগুলি সম্পন্ন করার জন্য প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, অ্যাক্ট ইষ্ট পলিসি নিয়ে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজাগুলির উন্নয়নে কাজ করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
বর্তমানে উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি উন্নয়নে যৌথভাবে কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, উত্তর পূর্বাঞ্চলে অষ্টলক্ষ্মী অনুভূতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই সবকিছুই সম্ভবপর হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির সুবাদে।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, দীর্ঘদিন পর রাজ্যে এরকম একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যা রাজ্যবাসীর জন্য অত্যন্ত সুখবর। তিনি উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোর পুলিশ মহানির্দেশক ও আই জি পি-দের এই সম্মেলনের তাৎপর্য উল্লেখ করে এর সার্বিক সফলতা কামনা করেন।