অনলাইন ডেস্ক, ১৩ নভেম্বর।। দাম্পত্য জীবনে বিশ্বাস ও ভালোবাসা দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। এর অভাব হলেই সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। তবে সম্প্রতি এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নারীরা পরকীয়ায় জড়ালে নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। আর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে হীনমন্যতায় ভোগেন পুরুষরা। ২০১৫ সালে ব্রিটেনের একটি সমীক্ষায় দেখা যায়, প্রতি পাঁচজনে ১ জন ব্রিটিশ নাগরিক কখনও না কখনও বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন।
এটা শুধু ব্রিটেনের ছবি নয়। বিভিন্ন সময়েই সমাজের নানা স্তরে এই ঘটনা দেখা যায়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এই পরকীয়া দেখা গেলেও লিঙ্গ ভেদে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের প্রভাব পড়ে আলাদা আলাদা। অন্তত এমনটাই দাবি করা হল সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।নেদারল্যান্ডের টিলবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা প্রায় বারো বছর ধরে চালিয়েছেন এই গবেষণা।
যত মানুষের ওপর এই সমীক্ষা চালানো হয়, তার মধ্যে ৬০৯ জন নিজেরা কোনও না কোনও সময়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছেন। আর তিনশো আটত্রিশ জনের সঙ্গী জড়িয়েছেন পরকীয়াতে। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়ানো নারীদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। জীবন নিয়ে অনেক বেশি তৃপ্ত বোধ করেছেন তারা। অন্যদিকে ঠিক উল্টো ঘটনা ঘটেছে পুরুষদের ক্ষেত্রে। পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়ার পর মানসিক টানাপোড়েন বেড়েছে পুরুষদের।
গবেষণাটি প্রকাশ পেয়েছে সাইকোলজিক্যাল সায়েন্স নামের বিজ্ঞানপত্রিকায়। গবেষকরা বলছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে সম্পর্কে অতৃপ্তির জায়গা থেকেই অন্য মানুষের দিকে ঝুঁকেছেন নারীরা। অন্য মানুষের থেকে সেই চাহিদা পূরণ হওয়ার ফলে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে নারীদের মনে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে বিষয়টিকে প্রতারণা হিসেবে দেখা হয়। তাই এতে বেড়ে যায় সম্পর্কের টানাপোড়েন। বেড়ে যায় হীনমন্যতা ও মানসিক চাপ। তবে বিষয়টি খুবই ব্যক্তিসাপেক্ষ। তাই ব্যক্তি ভেদে এই সমীকরণও বিভিন্ন। কাজেই সবার ক্ষেত্রে বিষয়টি একই রকম নাও হতে পারে, মত গবেষকদের।