রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাদা ভাতের পরিবর্তে ভরসা রাখতে পারেন ‘ব্ল্যাক রাইস’-এ

অনলাইন ডেস্ক, ১৩ নভেম্বর।। ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন, এমন মানুষের সংখ্যা কম নয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারা বিশ্বে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় কয়েক কোটি। অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা, বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা, কায়িক শ্রম কম করা, তেল-মশলাদার, মিষ্টির মতো খাবার বেশি খাওয়ার অভ্যাসেও শরীরের বাসা বাঁধতে পারে ডায়াবেটিস। তাই সাবধান থাকা প্রয়োজন।

ডায়াবেটিস হলে প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় তো বটেই, খাবারদাবারেও অনেক বিধিনিষেধ চলে আসে। ডায়াবেটিস হলে কার্বোহাইড্রেট খাবার কম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। সেজন্য অনেকেই ভাত এড়িয়ে চলেন। তবে বাঙালির ভাত ছাড়া চলে না। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস হলেও ভাত খাওয়া যেতে পারে।

তবে সাদা ভাত নয়। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাদা ভাতের পরিবর্তে ভরসা রাখতে পারেন ‘ব্ল্যাক রাইস’-এ। অনেকেই হয়তো জানেন না, এই চালের ভাত ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর বিকল্প। ব্ল্যাক রাইসের পুষ্টিগুণ অনেক। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য একেবারে আদর্শ।

১) কালো চালে ফাইবার এবং প্রোটিনের পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে রক্ত শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইলে ব্ল্যাক রাইস হতে পারে অন্যতম ভরসা।

২) ডায়াবেটিস হলে ওজন বে়ড়ে যাওয়ার একটা আশঙ্কা থাকে। ডায়াবেটিসে ভুগছেন এমন অনেকেরই ওজন স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি। রক্তে শর্করার মাত্রার পাশাপাশি ওজনও নিয়ন্ত্রণে রাখতে রোজের পাতে সাদা ভাতের পরিবর্তে রাখতেই পারেন কালো চাল।

৩) গ্লুটেন আছে এমন খাবার ডায়াবেটিকদের এড়িয়ে চলার কথা বলে থাকেন চিকিৎসকরা। কারণ গ্লুটেনযুক্ত খাবার ডায়াবেটিস রোগীদের শরীরে নানা রকম বাড়তি অসুস্থতার জন্ম দেয়। ব্ল্যাক রাইসে গ্লুটেন নেই। ডায়াবেটিস ধরা পড়লে অনায়াসে খেতে পারেন এই চালের তৈরি ভাত।

৪) টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতেও কালো চাল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। ফাইবার এবং ম্যাগনেশিয়াম-সমৃদ্ধ ব্ল্যাক রাইস ডায়াবিটিসের সঙ্গে লড়তে হাতিয়ার হতে পারে। ফলে টাইপ ২ ডায়াবিটিসের ঝুঁকি কমাতে পারে ব্ল্যাক রাইস।

তবে সকলের ক্ষেত্রে কালো চাল ভূমিকা পালন করে না। ডায়াবেটিসের সঙ্গে সঙ্গে কারও যদি হৃদ্‌রোগ, গ্যাস বা শারীরিক অন্য কোনও সমস্যা থেকে থাকে, তা হলে কিন্তু এই চালের ভাত না খাওয়াই ভাল। এছাড়া কালো চাল খাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *