রিপাবলিকান দল নির্বাচনে যতোটা ভালো করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল বাস্তবে তা ঘটেনি : জো বাইডেন

অনলাইন ডেস্ক, ১০ নভেম্বর।। যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেট দল বিস্ময়করভাবে ভালো করায় দেশটির ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন একে ‘গণতন্ত্রের জন্যে সু’দিন’ বলে উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন। রিপাবলিকান দল এ নির্বাচনে যতোটা ভালো করবে বলে ধারণা করা হয়েছিল বাস্তবে তা ঘটেনি। তারা কেবলমাত্র প্রতিনিধি পরিষদে সামান্য ব্যবধানে জিততে যাচ্ছে।

এতে বেজায় খুশি বাইডেন। হোয়াইট হাউসে স্থানীয় সময় বুধবার (৯ নভেম্বর) রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাইডেন বলেন, আমি মনে করি গণতন্ত্রের জন্যে এটি একটি ভালো দিন ছিল। এমনকি আমেরিকার জন্যেও। তিনি বলেন, মিডিয়া ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বিশাল লাল ঢেউয়ের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। কিন্তু তা ঘটেনি। পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন কি-না সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, তার ইচ্ছে আছে। তবে নিশ্চিত সিদ্ধান্ত নেবেন আগামী বছর।

এদিকে চলতি মাসে ৮০ বছরে পা রাখা আমেরিকার সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট বাইডেন তরুণ ভোটারদের প্রশংসা করেছেন যারা গর্ভপাতের অধিকারের পক্ষে ভোট দিয়েছে যা জুন মাসে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নিয়োগ প্রাপ্তদের দ্বারা পরিচালিত সুপ্রিম কোর্ট বাতিল করে দিয়েছিল। বাইডেন বলেন, ভোটাররা তাদের উৎকণ্ঠার বিষয়গুলিতে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে।

সিনেটে ৩৬ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন বাইডেন রিপাবলিকানদের সাথে আরো সমঝোতামূলকভাবে কাজ করার আগ্রহও দেখিয়েছেন।গতকাল (৮ নভেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে রিপাবলিকানদলের যে ধরনের সংখ্যাগরিষ্ঠতার কথা বলা হয়েছিল সেটা তারা পায়নি। কিন্তু ফলাফলের প্রতিক্রিয়ায় ট্রাম্প বলেন, যদিও কোন কোন দিক থেকে গতকালের নির্বাচন হতাশাজনক ছিল তবু আমার ব্যক্তিগত দিক থেকে এটি একটি বিশাল বিজয়।

ব্যক্তিগতভাবে তিনি যাদের অনুমোদন দিয়েছেন তাদের প্রসঙ্গ টেনে ট্রাম্প বলেন, জয়ী হয়েছে ২১৯টি আসনে, হার ১৬টিতে। তবে স্বল্প ব্যবধানে হলেও রিপাবলকানরা ২০১৮ সালের পর ৪৩৫ আসন বিশিষ্ট প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার পথে রয়েছে। এদিকে টুইটারে বাইডেন বলেন, অন্তত গত ৪০ বছরে ডেমোক্রেট দলের যে কোন প্রেসিডেন্টের সময়কার মধ্যবর্তী নির্বাচনের তুলনায় এবারে প্রতিনিধি পরিষদে ক্ষমতাসীন দল খুব কম সংখ্যক আসন হারিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের ইতিহাস বলে, সাধারণত ক্ষমতাসীনরা মধ্যবর্তী নির্বাচনে হেরে যায়।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *