অনলাইন ডেস্ক, ২৯ সেপ্টেম্বর।। সৌদি আরবের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এমবিএস নামেই বেশি পরিচিত। কারও কারও কাছে তিনি একজন বিপ্লবী। যিনি সৌদি আরবের জীবনধারা বদলে দিয়েছেন। বিশেষ করে নারী উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য কিছু কাজ করেছেন তিনি। তবে অনেকের কাছেই তিনি একজন ‘ভয়ংকর কসাই’। যিনি প্রতিবেশি দেশ ইয়েমেনে রক্তক্ষয়ী সংঘাতের সূচনা করেছেন।
যা দেশটিকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে।শুধু তাই নয়, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ মনে করে, বিদেশে বসবাসরত সৌদি বংশোদ্ভূত খ্যাতনামা সাংবাদিক ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদ মাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট জামাল খাসোগি নৃশংসভাবে হত্যার নির্দেশ তিনিই দিয়েছেন। ২০১৮ সালের অক্টোবর মাসে তুরস্কের ইস্তাম্বুল শহরে সৌদি দূতাবাসে খাসোগিকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে টুকরো টুকরো করে হত্যা করা হয়। রাজপরিবারের বিভিন্ন নীতির সমালোচনা করে ওয়াশিংটন পোস্টে কলাম লিখতেন তিনি।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বজুড়ে সৃষ্ট জ্বালানি সংকটের কারণে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছেন তিনি। সৌদির তেল পেতে রীতিমতো তার পেছনে লাইন ধরেছেন বিশ্বনেতারা। এর মধ্যেই সৌদি সরকারের ক্ষমতা কাঠামোয় তাকে আরও একধাপ ওপরে তোলা হলো; বা বলা ভালো, বাবার হাত ধরে তিনি নিজেই উঠে এলেন। মঙ্গলবারই (২৭ সেপ্টেম্বর)এক রাজকীয় আদেশে যুবরাজ মোহাম্মদকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ।
বিশ্লেষকদের মতে, আধুনিক সৌদির প্রতিষ্ঠাতা ও দেশটির প্রথম বাদশাহ আবদুল আজিজ আল সৌদের পর দেশটিতে একজনের হাতে এত বেশি ক্ষমতা আগে কখনও দেখা যায়নি। বাবা ৮৬ বছর বয়সী সালমান বিন আবদুল আজিজ রাজা হলেও পুরো বাদশাহী কার্যত ৩৭ বছর বয়সী ছেলে মোহাম্মদের হাতেই। এখন বাবার পরিবর্তে তিনিই দেশ পরিচালনা করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, আগে থেকেই বিপজ্জনক ছিলেন যুবরাজ মোহাম্মদ। নতুন করে যে ক্ষমতা তিনি পেয়েছেন, তার ফলে আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবেন তিনি।