স্টাফ রিপোর্টার, কদমতলা, ২৫ সেপ্টেম্বর।। রাজ্যের প্রতিটি ঘরে ঘরে রোজগারের সুযোগ তৈরী করে দিচ্ছে বর্তমান সরকার।সরকারের মূল লক্ষ্য হল প্রতিটি পরিবারকে স্বনির্ভর করে তোলা। এই লক্ষ্যে সরকার কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট বিষয়, ত্রিপুরা গ্রামীণ জীবিকা মিশনের উপর সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
আজ উত্তর ত্রিপুরা জেলার যুবরাজনগর ব্লকে উপাখালি প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রের শিলান্যাস করে এ কথা বলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী ভগবান চন্দ্র দাস। শিলান্যাস অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী শ্রীদাস বলেন, কম সময়ের মধ্যে আয়ের অন্যতম উৎস প্রাণী পালন। রাজ্যে কৃষি নির্ভর পরিবারগুলি প্রাণী পালনের অভ্যাস রয়েছে।
এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিটি পরিবারে বাড়তি আয়ের সুযোগ করে দিচ্ছে বর্তমান সরকার। মুখ্যমন্ত্রী স্বনির্ভর পরিবার যোজনায় লক্ষ লক্ষ পরিবারকে হাঁস, মোরগ, ছাগল ও শূকর পালনে সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এর ফলে গ্রামীণ এলাকার পরিবারগুলি যেমন স্বনির্ভর হচ্ছে তেমনি বর্তমানে দুধ, ডিম, মাংসের উৎপাদন আগের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী আরও বলেন, সরকার সব অংশের মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। রাস্তাঘাট, পানীয়জল, কৃষকের উন্নয়ন, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় পাকাঘর দেওয়া, সামাজিক ভাতা বাড়ানো সর্বক্ষেত্রে সরকার কাজ করছে।
মানুষকে আরও বেশি পরিষেবা প্রদান করার জন্য বর্তমানে প্রতি ঘরে সুশাসন অভিযান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠানে উত্তর ত্রিপুরা জিলা পরিষদের সভাধিপতি ভবতোষ দাস বলেন, মানুষকে আত্মনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার কাজ করছে। মানুষের আয় বাড়ানোর লক্ষ্যে বিভিন্ন দপ্তরের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসূচি রূপায়িত হচ্ছে রাজ্যে।
অনুষ্ঠানে বিধায়ক মলিনা দেবনাথ বলেন, প্রাণী পালনের মাধ্যমে গ্রামীণ পরিবারগুলিকে আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর করে তোলার সুযোগ রয়েছে। এই এলাকায় এই প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রটি গড়ে উঠলে এলাকার প্রাণী পালনের সাথে যুক্ত কৃষকরা উপকৃত হবেন।
উপ্তাখালি প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রে শিলান্যাস অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান শ্রীপদ দাস। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন যুবরাজনগর পঞ্চায়েত সমিতির ভাইস চেয়ারম্যান মহানন্দ নাথ, সমাজসেবী নান্টু গোস্বামী, পূর্ত দপ্তরের পানিসাগর মহকুমার এসডিও সুভাষ দেবনাথ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপাখালি গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান করুণা সিন্ধু গোস্বামী।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরের উপঅধিকর্তা ডা. রাধেশ্যাম। দাস। তিনি জানান, এই প্রাণী চিকিৎসা কেন্দ্রটি নির্মাণে ব্যায় হবে ৮১ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা। ৯ মাসের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার লক্ষমাত্রা ধরা হয়েছে।