স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২৫ সেপ্টেম্বর।। আজ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনের ২নং হলে মায়ের গমন ও শারদ সম্মান-২০২২ নিয়ে এক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।
পর্যালোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার, ত্রিপুরা চা উন্নয়ন নিগম লিমিটেডের চেয়ারম্যান সন্তোষ সাহা, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের সচিব ড. পি কে চক্রবর্তী, পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক রাজীব দত্ত, এসপি (সিকিউরিটি) বিজয় দেববর্মা, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা রতন বিশ্বাস, নগর উন্নয়ন দপ্তরের অধিকর্তা তমাল মজুমদার, আগরতলা ক্লাব ফোরামের সভাপতি প্রণব সরকার, নর্থ ইস্ট কালার্স পত্রিকার সম্পাদক সঞ্জীব দেব, বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধি, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের জেলাস্তরের আধিকারিকগণ এবং বিভিন্ন ক্লাবের প্রতিনিধিগণ।
উল্লেখ্য, তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে এবার দুর্গাপূজার বিসর্জনকে নিয়ে আগামী ৭ অক্টোবর আগরতলায় মায়ের গমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে।
তাছাড়াও তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে রাজ্যে প্রথম বিভিন্ন থিমে আগরতলা এবং তার পার্শ্ববর্তী ক্লাব ও পুজো কমিটিগুলিকে শারদ সম্মান প্রদান করা হবে। তাছাড়াও জেলাস্তরের ক্লাব ও পুজো কমিটিগুলিকেও শারদ সম্মান প্রদান করা হবে। আগরতলার সিটি সেন্টারে আগামী ৭ অক্টোবর মায়ের গমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এবিষয়ে রোড ম্যাপ কিছুদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত করা হবে।
পর্যালোচনা সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেন, রাজ্যে এবারই প্রথম তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের উদ্যোগে শারদ সম্মান ও মায়ের গমন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। মায়ের বিসর্জনের মুহুর্তটি স্মরণীয় করে রাখতে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হচ্ছে। আগরতলা ছাড়াও রাজ্যের অন্যান্য স্থানের মানুষও যাতে মায়ের গমন অনুষ্ঠান উপভোগ করতে পারেন তার উদ্যোগ নেওয়া হবে।
রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মায়ের গমন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলির মধ্যে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার হিসেবে ৫০ হাজার টাকা, ৩০ হাজার টাকা ও ২০ হাজার টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে। পর্যালোচনা সভায় আগরতলা পুরনিগমের মেয়র দীপক মজুমদার জানান, এবারের দুর্গাপূজার বিসর্জন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে নিগম কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
আগরতলা পুরনিগম থেকেও মায়ের গমন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারী ক্লাবগুলিকে থিম ও পুজো পরিচালনা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ৫০ হাজার টাকা, মহিলাদের ভূমিকা বা মহিলা ক্ষমতায়ণ বিষয়ে ৫০ হাজার টাকা এবং ৪টি জোনাল ভিত্তিক ২৫ হাজার টাকা শারদ সম্মান পুরস্কার ও ট্রফি দেওয়া হবে।
সভায় তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধিকর্তা জানান, আগরতলা ও পার্শ্ববর্তী ক্লাব এবং পুজো কমিটিগুলিকে ৬টি থিমের উপর পুরস্কার দেওয়া হবে। এগুলি হচ্ছে শ্রেষ্ঠ থিম সম্বলিত পুজো, শ্রেষ্ঠ পরিবেশবান্ধব পুজো, শ্রেষ্ঠ মন্ডপসজ্জা বিশিষ্ট পুজো, শ্রেষ্ঠ নিয়মানুবর্তী পুজো, সামাজিক কাজের নিরিখে শ্রেষ্ঠ পুজো, বিগ বাজেটে শ্রেষ্ঠ পুজো।
তাছাড়া জেলাস্তরে ৫টি বিষয়ে পুরস্কার দেওয়া হবে। এগুলি হচ্ছে শ্রেষ্ঠ থিম সম্বলিত পুজো, শ্রেষ্ঠ পরিবেশবান্ধব পুজো, শ্রেষ্ঠ মন্ডপসজ্জা বিশিষ্ট পুজো, শ্রেষ্ঠ নিয়মানুবর্তী পুজো ও সামাজিক কাজের। নিরিখে শ্রেষ্ঠ পুজো।