অনলাইন ডেস্ক, ১৯ সেপ্টেম্বর।। ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে সিংহাসন অলংকৃত করে রাখা রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার এই অনুষ্ঠানে অংশ নেবেন বিশ্ব নেতারা।
স্থানীয় সময় সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শুরু হবে রানীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া। সন্ধ্যার মধ্যে সেন্ট জর্জ চ্যাপেলে স্বামী ডিউক অব এডিনবার্গের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন রানী। তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সামনে রেখে আজ দিনব্যাপী চলবে নানা আনুষ্ঠানিকতা। রানীর কফিন তত্ত্বাবধান করবেন তার নাতি প্রিন্স উইলিয়াম ও হ্যারি।
রানীর শেষকৃত্যের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ইতিমধ্যে উপস্থিত হয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তার স্ত্রী জিল বাইডেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রো ও তার স্ত্রী ব্রিজিট ম্যাক্রো, জাপানের সম্রাট নারুহিতো, ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, নেপালের রাষ্ট্রপতি বিদ্যা দেবী ভাণ্ডারী, আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মাইকেল ডি হিগিন্স, নরওয়ের রাজা হার্লড, ডেনমার্কের রানি দ্বিতীয় মার্গারেট, জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ এবং রানি রানিয়া আল-আবদুল্লাহ, কাতারের আমির তামিম বিন হামাদ আল থানি, বাহরাইনের রাজা হামাদ বিন ইসা আল খলিফা, ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিক, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস, সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রধানমন্ত্রী ও ভাইস প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুমসহ বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানরা।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে মারা যান রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। ৭০ বছর তিনি ব্রিটেনের সিংহাসনে ছিলেন। তার মৃত্যুতে আবেগে আপ্লুত হন বিশ্বনেতারা। রানির উত্তরসূরী রাজা চার্লস শনিবার কমনওয়েলথ সদস্যভুক্ত দেশের প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
এরইমধ্যে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, কানাডা তাদের নতুন রাজা হিসেবে চার্লসের নাম ঘোষণা করেছে। তবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন শক্তিশালী হচ্ছে। এ আন্দোলনকারীদের রাজপরিবারের আয়ত্ত্বে রাখা রাজা চার্লসের জন্য একটি বড় দায়িত্ব হবে।