শ্রীলংকার ব্যাটিং দুর্দশার দিনে রশিদ খান ছিলেন কিপটে বোলার

অনলাইন ডেস্ক, ২৮ আগস্ট।। দুজনই লেগ স্পিনার। নিজ দলের জন্য তারা ভীষণ কার্যকরি। যেকোনো সময় নামিয়ে দিতে পারেন প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন-আপে। কখনও উইকেট নিয়ে, কখনও বা আঁটোসাটো বোলিংয়ে।
শ্রীলংকার ব্যাটিং দুর্দশার দিনে রশিদ খান ছিলেন কিপটে বোলার।

যা ছিল লংকানদের ১০৫ রানে বেধে রাখার পেছনে ভীষণ কার্যকর। তবে তাকে থাকতে হয়েছে উইকেট শূন্য। অন্যদিকে হাসারাঙ্গা ডি সিলভা ওভারপ্রতি ছয়ের বেশি রান দিয়েও পেয়েছেন একটি উইকেট। যা শুধুই হারের ব্যবধান কমিয়েছে। এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচের শুরুতেই শ্রীলংকাকে চাপে ফেলে দেন আফগান পেসাররা। প্রথম দুই ওভারেই তিন টপ অর্ডারকে হারিয়ে চাপে পড়ে তারা।

তবে সেই চাপ ভালোই সামলে উঠেছিলেন লংকান ব্যাটার ভানুকা রাজাপাকশে ও ধানুশকা গুনাথিলাকা। তাদের ব্যাটেই পাওয়ার প্লেতে চাপের মধ্যেও ৪১ রান সংগ্রহ করে টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশরা। পাওয়ার প্লে শেষে নবম ওভারে রশিদ খানকে বোলিংয়ে নিয়ে আসেন অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী।

ততক্ষণে ৫৪ রানে নেই শ্রীলংকার ৫ ব্যাটার। সে ওভারে অবশ্য ৫ রান খরচা করেন বিশ্বের সেরা এই লেগ স্পিনার। অন্তত দুইবার হয়েছিল উইকেটের সুযোগও। তবে বল ব্যাটের কানায় লেগে কখনও সিঙ্গেল এসেছে। কখনও স্টাম্পের ঠিক গা ঘেষেই গেছে। পরে আরও তিন ওভার বল করেছেন রশিদ খান।

সেই ১৮ বল থেকে মাত্র ৭ রান সংগ্রহ করতে পেরেছেন শ্রীলংকার ব্যাটাররা। তবে তাকে কেউই উইকেট বিলিয়ে দেননি। দেখেশুনেই সবাই তাকে মোকাবেলা করছিলেন। তাই ৪ ওভার বল করে মাত্র ১২ রান দিয়েও তিনি ছিলেন উইকেট শূন্য। তবে তার এই বোলিং কিপটেমি ছিল ভীষণ কার্যকরি।

প্রতি ওভারে গড়ে মাত্র তিন রান করে দিয়ে লংকানদের মাত্র ১০৫ রানে বেধে ফেলতে রাখেন দারুণ ভূমিকা। অন্যদিকে হাসারাঙ্গা ডি সিলভা তিন ওভার বল করেছিলেন। ১৯ রান দিয়ে পেয়েছেন একটি মাত্র উইকেট। ওভারপ্রতি ছয়ের বেশি রান দিয়েছেন তিনি। কিন্তু একটি মাত্র উইকেটে হারের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কোনো কাজে আসেনি।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *