কাশ্মীরের ডাল লেক থেকে কোন অংশে কম নয় ডম্বুর জলাশয়, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ সাহা

স্টাফ রিপোর্টার, গন্ডাছড়া, ১৩ আগস্ট।। কাশ্মীরের ডাল লেক থেকে কোন অংশে কম নয় ডম্বুর জলাশয়। রাজ্যে যে এতো আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তা বাস্তবে চাক্ষুস না করলে জানা সম্ভব নয়। আগামীতে নারকেলকুঞ্জকে ঘিরে এই অঞ্চলের আর্থ সামাজিক ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে।

পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষিত করতে বেসরকারি হেলিকপ্টার সার্ভিসকে এই রুটে পরিষেবা দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। আজাদি কা অমৃত মহোৎসবের অংশ হিসেবে আজ গন্ডাছড়া মহকুমার নারকেলকুঞ্জে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা।

মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা আজ আগরতলা থেকে হেলিকপ্টারে নারকেলকুঞ্জের হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন। সেখানে তাকে স্বাগত জানান সাংসদ রেবর্তী ত্রিপুরা, বিধায়ক ধনঞ্জয় ত্রিপুরা সহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং জেলা ও মহকুমা প্রশাসনের পদস্থ আধিকারিকগণ। তারপর পূর্ব নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী শুরু হয় হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি।

এরই অংশ হিসেবে নারকেলকুঞ্জের ডম্বুর জলাশয়ে ৭০টি মোটর ইঞ্জিন চালিত বোটের সুদৃশ্য শোভাযাত্রাতে জাতীয় পতাকা নিয়ে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচিতে সামিল হন মুখ্যমন্ত্রী। পরে হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচির দ্বিতীয় অংশ হিসাবে নারকেলকুঞ্জে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সেখানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, নারকেলকুঞ্জের আশপাশ এলাকায় আরও ৪৮টি ছোট ছোট দ্বীপ রয়েছে।

আর এই ৪৮টি দ্বীপকে রাজ্যের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি তুলে ধরে সাজানো হলে এই জায়গা আগামীতে পর্যটনের জন্য অন্যতম আকর্ষণীয় জায়গা হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে পর্যটনস্থলে ঘুরতে যাওয়া পর্যটকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার বিষয়টিও গুরুত্ব সহকারে দেখতে বলেন তিনি। পাশাপাশি এই পর্যটনস্থলে এসে আনন্দ উপভোগ করার জন্য রাজ্যবাসীর উদ্দেশ্যে আহ্বান জানান তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, আগামীদিনে ডম্বুর জলাশয় ও নারকেলকুঞ্জকে পর্যটকদের কাছে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে সরকার উদ্যোগ নেবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন আগামীদিনে এই পর্যটনকেন্দ্রকে ভিত্তি করে এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক বুনিয়াদ আরও সুদৃঢ় হবে।

মুখ্যমন্ত্রী ডা. মানিক সাহা আশা প্রকাশ করেন নারকেলকুঞ্জের সুদৃশ্য জলাশয়ে বোট শোভাযাত্রার মধ্যদিয়ে আয়োজিত এই হর ঘর তিরঙ্গা কর্মসূচি শুধু দেশ নয়, সারা বিশ্বেও সমাদৃত হবে। এতে বিশ্বের আঙ্গিনায় দেশের নাম আরও সমৃদ্ধ হবে। এদিন নারকেলকুঞ্জের লগহাটে বেশ কিছু সময় অতিবাহিত করেন মুখ্যমন্ত্রী। জেনে নেন এই পর্যটন স্থলের বিভিন্ন খুটিনাটি।

এছাড়াও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন এমডিসি ভূমিকানন্দ রিয়াং, এডিসির প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সদস্য পতিরাম। ত্রিপুরা, ধলাই জেলার জেলাশাসক ময়ূর গোভেকর রতিলাল, জেলা পুলিশ সুপার রমেশ যাদব প্রমুখ।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *