রাজ্যে সপ্তাহব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ পান সপ্তাহ উদযাপিত হচ্ছে

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৬ আগস্ট।। মাতৃ দুগ্ধের কোন বিকল্প নেই। সমগ্র বিশ্বের সাথে সাথে আমাদের রাজ্যেও ১ আগস্ট থেকে ৭ আগস্ট পর্যন্ত সপ্তাহব্যাপী বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ পান সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আজ পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিস কক্ষে এক সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. দেবাশিষ দাস।

সাংবাদিক সম্মেলনে তাছাড়াও মাতৃ দুগ্ধ পানের উপকারিতা সহ বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন রাজ্যের বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ড. সঞ্জীব দেববর্মা, স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জহরলাল বৈদ্য।সাংবাদিক সম্মেলনে ডা. সঞ্জীব দেববর্মা বলেন, ১৯৯১ সালে প্রথম ওয়ার্ল্ড এলায়েন্স ফর ব্রেস্ট ফিডিং একশন গঠিত হয়। ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছর ১ আগস্ট থেকে সপ্তাহব্যাপী বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ পান সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।

১৯৯২ সালে বিশ্বের মোট ৭০টি দেশ এই কর্মসূচি পালন করছে। বর্তমানে ২০২২ সালে ১৭০টি দেশ সপ্তাহব্যাপী এই মাতৃদুগ্ধ পান কর্মসূচি পালন করছে। এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য একটাই মাতৃদুগ্ধ পান সপ্তাহ উদযাপন এবং প্রত্যেক মা-কে এই বার্তা সম্পর্কে সচেতন করা।

মাতৃদুগ্ধ পান মা ও বাচ্চার উভয়ের জন্যই খুব উপকারী। শিশু জন্মের ১ ঘন্টার পর প্রতিটি শিশুকে মাতৃদুগ্ধ পান করাতে হয়। প্রতিটি শিশুকে ৬ মাস পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ পান করানো উচিত। শিশুদের পুষ্টি ও বৃদ্ধির জন্য ২ বছর পর্যন্ত মাতৃদুগ্ধ পান খুবই উপকারী বলে তিনি জানান।

সাংবাদিক সম্মেলনে স্ত্রী ও প্রসূতি রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জহরলাল বৈদ্য বলেন, গর্ভবতী মহিলাদের এবং তাদের পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে এই মাতৃদুগ্ধ পান বিষয়ে সচেতন করা উচিত। প্রতিটি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে গর্ভবতী মা ও প্রসূতিদের মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা তুলে ধরতে হবে।

শিশুদের মাতৃদুগ্ধ পান করালে মায়েদের বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করা যায়। মহিলাদের বিশেষ করে মায়েদের স্তন টিউমার ও গর্ভাশয় টিউমার হওয়ার হার কম হয়।

রাজ্যের বিভিন্ন স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে মা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের মাতৃদুগ্ধ পানের জন্য সচেতন করতে এবং মায়েদের পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার জন্য সচেতনতামূলক শিক্ষা প্রদান করার জন্য সকলকে এগিয়ে আসার জন্য তিনি আহ্বান জানান।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *