স্টাফ রিপোর্টার, গন্ডাছড়া, ৪ আগস্ট।। ছয় বছর পরও ছয়শো মিটার দৈর্ঘ্যর একটি রাস্তার কাজে হাত লাগাতে পারলো না পূর্ত দপ্তর। ছয় বছর পূর্বে বরাদ্দ হওয়া ওই রাস্তার কাজের মোটা অংকের টাকা কোন রাম নেতার পকেটে ঢুকেনিতো? এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের মধ্যে উঁকিঝুঁকি দিতে শুরু করেছে।
ওই রাস্তার বেহাল দশার কথা এবং অবিলম্বে ওই রাস্তাটি মেরামত করার জন্য বারবার পূর্ত দপ্তরের কর্মকর্তাকে জানিয়েও বর্তমান সময় পর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রামবাসীরা।
অনতিবিলম্বে ওই রাস্তার মেরামতের কাজে যদি পূর্ত দপ্তর হাত না দেয় তাহলে পনেরো আগষ্টের পর যেকোনো সময় ওই রাস্তার মেরামতির দাবিতে পথ অবরোধ সৃষ্টির প্রস্তুতি নিচ্ছে ওই গ্রামের গ্রামীণ মহিলারা।
সংবাদে অভিযোগ গত ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে গন্ডাছড়া মহকুমা সদর সংলগ্ন গন্ডাছড়া এ ডি সি এর সম্মুখ থেকে প্রয়াত প্রফুল্ল দেবনাথের বাড়ী পর্যন্ত মাত্র ছয়শো মিটার রাস্তার টেন্ডার ডাকে গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তর। টেণ্ডারে ওই রাস্তা মেরামতির কাজের বরাত পায় মহকুমার ষাটকার্ডের বাসিন্দা তথা ঠিকাদার নন্দন বিশ্বাস।
কাজের বরাত পেয়ে ২০১৭সালের শেষদিকে মেরামতির কাজে হাত লাগান ঠিকাদার নন্দনবিশ্বাস।অভিযোগ ২০১৮সালে নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তোল্লাবাজদের যন্ত্রনায় কাজ থেকে হাত গুটিয়ে নেন ঠিকাদার নন্দন বিশ্বাস। ঠিকাদার নন্দনবাবু ওই কাজ থেকে হাত গুটিয়ে নেয়ার পর থেকে আজ পর্যন্ত দুর্গাপুর গ্রামের রাস্তাটি পরিত্যাক্ত।
প্রায় প্রতিদিন ওই রাস্তায় ছোট বড় যান দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। ওই রাস্তার মারাত্মক অবস্থার কথা বারবার গন্ডাছড়া পূর্ত দপ্তরের এস ডি ও রথীন্দ্র দেববর্মাকে জানালেও কানে তুলছে না পূর্ত কর্মকর্তা। ফলে অনেকটা ক্ষোভে ফুঁসছে গ্রামের মানুষজন।
ক্ষুব্ধ জনগণের দাবী অনতিবিলম্বে ওই রাস্তার মেরামতির কাজে যদি পূর্ত দপ্তর হাত না লাগান তাহলে গন্ডাছড়া মহকুমা সদর বাজারে পথ অবরোধে বসবে গ্রামীণ মহিলারা। এখন দেখার পূর্ত দপ্তর কি ভূমিকা গ্রহণ করে। সেদিকেই তাকিয়ে গ্রামবাসীরা।