সচিবালয়ে বিদ্যুৎ দপ্তরের ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি নিয়ে পর্যালোচনা সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২ আগস্ট।। রাজ্যের বিদ্যুৎ পরিষেবাকে আধুনিকীকরণ করার পাশাপাশি রাজ্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পরিষেবা প্রদানে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। এই লক্ষ্যে বিদ্যুৎ পরিষেবার উন্নয়নে ফ্ল্যাগশিপ প্রকল্পগুলির কাজ স্বচ্ছতার সাথে দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে। আজ সচিবালয়ের কনফারেন্স হলে বিদ্যুৎ দপ্তরের ফ্ল্যাগশিপ কর্মসূচি নিয়ে পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা একথা বলেন।

পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, যারা বিদ্যুৎ পরিষেবা নিতে চায় তাদের উৎসাহিত করে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে হবে। প্রয়োজনে হুক লাইন ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন। গ্রাহকগণ কোনো প্রকার হয়রানির শিকার যাতে না হন সেই বিষয়ে দপ্তরকে নজর রাখতে হবে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দুর্গাপূজার সময় যাতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখতে এখন থেকেই গুরুত্ব সহকারে কাজ করা দরকার। পর্যালোচনা সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রাহক সেবা কেন্দ্রগুলিতে গ্রাহকরা ফোন করলে অবশ্যই গ্রাহকদের সঙ্গে বিনম্রতার সাথে ব্যবহার করা ও সঠিক তথ্য গ্রাহকদের দেওয়া প্রয়োজন।

রাজ্যের বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনগুলির সময় সময়ে পরিদর্শন করা প্রয়োজন। তিনি বলেন, ট্রান্সফরমারগুলির রক্ষণাবেক্ষণনের উপরও গুরুত্ব দিতে হবে। রাজ্যে চিহ্নিত অমৃত সরবোরগুলির চারপাশে সোলার লাইট দিয়ে সজ্জিত করার জন্যও মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎ নিগমের আধিকারিকদের পরামর্শ দেন।

সভায় ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের সচিব ব্রিজেশ পান্ডে জানান, রাজ্যে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করে কাজ করছে। তিনি বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে আরও সাব-স্টেশন সারা রাজ্যে স্থাপন করা হবে। তিনি বলেন, সারা রাজ্যে মোট ২২, ৫০০ স্ট্রিট লাইট লাগানো হয়েছে।

আরও লাইট লাগানোর প্রক্রিয়া চলছে। রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩ লক্ষ স্টাডি ল্যাম্প দেওয়া হয়েছে। এবছরের জুলাই মাস পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কুসুম পরিকল্পনায় ১,০৫৭টি সোলার পাম্প দেওয়া হয়েছে। আরও দেওয়ার লক্ষমাত্রা রয়েছে যা আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। তিনি বলেন, রাজ্যে একটি সৌর বিদ্যুৎ ভিত্তিক মডেল গ্রাম গড়ার উদ্যোগ। নেওয়া হয়েছে।

এছাড়াও সভায় সচিব, দীনদয়াল উপাধ্যায় গ্রাম জ্যোতি যোজনা, কেন্দ্র ও রাজা সরকারের বিভিন্ন দপ্তর সংশ্লিষ্ট প্রকল্প, ট্রান্সমিশন লাইন, রাজ্যে বিদ্যুৎ গ্রাহকের সংখ্যা, বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র নিয়ে আলোচনা করেন। সভায় সচিব দপ্তরের পূজার আগে বিভিন্ন কর্মসূচি, বর্ষার পূর্বে এবং পরে দপ্তরের কর্মসূচি, জাম্পারগুলির মেরামত, গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের সম্বন্ধে আলোচনা করেন।

এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বিদ্যুৎ নিগমের কল সেন্টারকে আরও উন্নত ও কার্যকরি করে তোলার নির্দেশ দেন। পর্যালোচনা সভায় উপমুখ্যমন্ত্রী তথা বিদ্যুৎ দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী যীষ্ণু দেববর্মা, মুখ্যসচিব জে কে সিনহা ত্রিপুরা রাজ্য বিদ্যুৎ নিগমের চিহ্ন ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস সরকার সহ দপ্তরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকগণ উপস্থিত ছিলেন।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *