পূর্ত দপ্তরে ২০০ জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ, সরকারি কর্মচারিদের ৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা- সিদ্ধান্ত মন্ত্রিসভার

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২ আগস্ট।। রাজ্য সরকারের কর্মচারি ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারিদের ৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে আজ সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে এ সংবাদ জানিয়েছেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। ঘোষিত এই মহার্ঘভাতা ১ জুলাই, ২০২২ থেকে কার্যকর হবে।

এই ৫ শতাংশ মহার্ঘভাতা দিতে গিয়ে প্রতিবছর রাজ্য সরকারের ব্যয় হবে ৫২৩ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা। তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, স্থির বেতনের কর্মচারিরাও এই সুবিধা পাবেন। রাজ্য সরকারের এই বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তের ফলে বিশাল সংখ্যক সরকারি কর্মচারি এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মচারি সমাজ উপকৃত হবে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আরও জানান, আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে পূর্ত দপ্তরে ২০০ জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১০০ জন ত্রিপুরা ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিস গ্রেড- (A) এবং ১০০ জন গ্রেড-v (B) জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ করা হবে। শীঘ্রই টিপিএসসি’র মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।

তিনি জানান, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরে ১০০ জন স্টাফ নার্স নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের অধীনে ২২টি ফার্মাসিস্ট (হোমিওপ্যাথি), ২৫ টি ফার্মাসিস্ট (আয়ুর্বেদিক) এবং ৩৯টি ল্যাবোরেটরি টেকনিসিয়ান (রাড) পদে লোক নিয়োগেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে।

তাছাড়াও মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরে মাল্টিপারপাস সুপারভাইজার পদে ৯০টি প্রোমোশনাল পদ সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরের রিপসেট-এ বিভিন্ন বিভাগে ৪টি সহকারী অধ্যাপক পদে নিয়োগের সিদ্ধান্তও অনুমোদিত হয়েছে মন্ত্রিসভায়।

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরে ২৫টি সুপারনিউমেরারি পদ সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে। এক্ষেত্রে যারা গ্রেড IV এ রয়েছেন তাদের গ্রেড -III (ড্রাইভার) পদে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, মন্ত্রিসভার বৈঠকে অর্থ দপ্তরের অন্তর্গত ডিরেক্টরেট অব অডিটে স্থির বেতনে ১২টি এল ডি সি পদ সৃষ্টি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এছাড়া তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরে ১৬টি পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪টি সহকারি অধিকর্তা, ৬টি সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসার এবং ৬টি রিপোর্টারের পদ সৃষ্টি করা হয়েছে। ৪টি সহকারি অধিকর্তা এবং ৬টি সিনিয়র ইনফরমেশন অফিসারের পদ প্রোমোশনের মাধ্যমে পূরণ করা হবে এবং রিপোর্টার পদে সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে পূরণ করা হবে।

সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান, বর্তমান রাজ্য সরকার সংবাদপত্র এবং সাংবাদিক বান্ধব বিভিন্ন সিদ্ধান্ত বিগত দিনে গ্রহণ করেছে। আজকের মন্ত্রিসভার বৈঠকে ত্রিপুরা মিডিয়া রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাক্রিডিটেশন গাইডলাইন ২০২২ এর সংশোধনীর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

তিনি জানান, অ্যাক্রিডিয়েটেড সাংবাদিকদের জন্য ঘোষিত স্বাস্থ্য বীমাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে এই সংশোধণ আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই ত্রিপুরা মিডিয়া রিপ্রেজেন্টেটিভ অ্যাক্রিডিটেশন গাইডলাইন ২০২২ সংশোধনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের সুবিধার্থে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেকটাই শিথিলতা আনা হয়েছে।

সাংবাদিক সম্মেলনে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী জানান। রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গণবন্টন ব্যবস্থায় এখন থেকে সোয়া চাংক -এর ২০০ গ্রাম প্যাকেট দেওয়ার। এক্ষেত্রে প্রতিমাসে প্রতি পরিবারকে ২০০ গ্রাম সোয়া চাংক -এর প্যাকেট দেওয়া হবে।

তাছাড়াও রাজ্য সরকার কৃষকদের কথা বিবেচনা করে সুসংহত শস্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচিতে রাজ্যে অতিরিক্ত ২০ হাজার হেক্টর চাষযোগ্য জমি ধান চাষের আওতায় আনা হবে। তাছাড়াও এই কর্মসূচিতে কৃষকদের বিভিন্ন সহায়তা দেওয়া হবে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *