স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ৩১ জুলাই।। রক্তদানের মতো মহৎদান আর কিছুই হতে পারে না। রক্তদানে যুবক যুবতীদের আরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসতে হবে। আজ মুখ্যমন্ত্রী প্রফেসর (ডা.) মানিক সাহা এগিয়ে চলো সংঘ প্রাঙ্গণে রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে একথা বলেন।
এগিয়ে চলো সংঘ আয়োজিত রক্তদান শিবিরের উদ্বোধন করে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা আরও বলেন, ত্রিপুরায় অনেকদিন ধরে রক্তদান শিবির চলছে। বিভিন্ন ক্লাব, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, সামাজিক প্রতিষ্ঠান রক্তদান করে আসছে। তারপরও রক্ত প্রতিনিয়ত দরকার হয়। মাঝে মাঝে খবর আসে ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের স্বল্পতা রয়েছে। তখন আমাদের উৎকণ্ঠায় থাকতে হয়।
মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা বলেন, ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের এই ঘাটতি পূরণে মানুষ ব্লাড ব্যাঙ্কে এসে বা রক্তদান শিবিরে এসে তার সামাজিক কর্তব্য পালন করছেন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে। মুখ্যমন্ত্রী রক্তদান শিবিরের আয়োজন করায় উদ্যোক্তাদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ সমাজকে আরও উদ্বুদ্ধ করে। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা রক্তের গ্রুপ বিন্যাসের জনক বিজ্ঞানী ডা. কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারের স্মৃতিচারণ করে বলেন, এই আবিষ্কারের জন্যই তিনি নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ভাষণে আইজিএম রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান বিধায়ক ডা. দিলীপ কুমার দাস এগিয়ে চলো সংঘের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, রাজ্যে ১৬ শতাংশ রক্ত স্বেচ্ছায় সংগৃহীত হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আগরতলা পুরনিগমের কাউন্সিলার জাহ্নবী দাস চৌধুরী। স্বাগত ভাষণ দেন এগিয়ে এলো সংঘের সাধারণ সম্পাদক সুমন্ত গুপ্ত। অনুষ্ঠানে এগিয়ে চলো সংঘের পক্ষ থেকে ক্যান্সার আক্রান্ত রোগী প্রাচী দাসের চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা ১০ হাজার টাকার চেক প্রাচী দাসের মায়ের হাতে তুলে দেন। তাছাড়াও অনুষ্ঠানে এগিয়ে চলো সংঘের পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক পরেশ চন্দ্র চক্রবর্তীর হাতে রাণীরখামার শিশু উদ্যান পরিচালনার জন্য ১০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হয়।
মুখ্যমন্ত্রী ডা. সাহা রাষ্ট্রপতি পুরস্কার প্রাপ্ত শিক্ষক পরেশ চন্দ্র চক্রবর্তীর হাতে এই ১০ হাজার টাকার চেক তুলে দেন। রক্তদান শিবিরে ৬৩ জন ক্লাব সদস্য ও সদস্যা রক্তদান করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এগিয়ে চলো সংঘের সভাপতি চঞ্চল নন্দী।