অনলাইন ডেস্ক, ৩১ মে।। ” . ”
– অর্থাৎ তামাক কোম্পানিগুলো তাদের সেরা গ্রাহকদের হত্যার জন্য দায়ী। কথাটা একদমই ভুল নয় কারণ প্রায় ৭১ শতাংশ ফুসফুসের ক্যানসারই তামাক সেবনের জন্য হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)-র রিপোর্ট অনুযায়ী পৃথিবীতে তামাক সেবনের ফলে প্রায় ৮ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে যাঁরা ধূমপান করতেন শুধু তাঁরাই নন, প্যাসিভ স্মোকিংয়ের কারণেও মারা গেছেন প্রায় ১.২ মিলিয়ন মানুষের। অর্থাৎ সিগারেট এর ধোঁয়াও ক্ষতিকারক। তামাক ব্যবহারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত।
তামাক হল একপ্রকার বিষ, যা ধীরে ধীরে আপনাকে শেষ করে দেয়। সামান্য ও সাময়িক স্বস্তির জন্য মানুষ যেভাবে ধূমপান ও তামাক সেবন করেন তা ভিতর থেকে শরীরের ক্ষয় করে এবং ধীর গতিতে সব শেষ করে দেয়। তামাক মূলত হৃৎপিণ্ড, লিভার ও ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ধূমপানের ফলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (COPD) অর্থাৎ এমফাইসিমা ও ক্রনিক ব্রংকাইটিস সহ, ও ক্যান্সার (বিশেষত ফুসফুসের ক্যান্সার, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার, ল্যারিংস ও মুখগহ্বরের ক্যান্সার) এর ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
প্রতিটি সিগারেটের প্যাকেটের গায়েই বড় করে ক্যানসার আক্রান্তের ছবি এবং সতর্কবার্তা থাকে তাও কেউ সে ব্যাপার নিয়ে ভাবে না। নাক, কান, গলা, মুখের মধ্যে ও জিভের ক্যানসারের সঙ্গে সঙ্গে গলা, স্বরযন্ত্র, ফুসফুস ইত্যাদি বিভিন্ন অঙ্গের ক্যানসারের অন্যতম কারণ তামাক। WHO জানিয়েছে, অন্যান্য তামাকজাত দ্রব্যের নিয়মিত সেবনের অভ্যাসে স্ট্রোকের ঝুঁকি ধূমপানের চেয়েও ২০ শতাংশ বেশি। নানা ধরনের ক্যানসার থেকে শুরু করে হার্টের অসুখ, বুদ্ধিনাশ, অকাল বার্ধক্যের মতো নানা ক্ষতিকর প্রভাব রয়েছে তামাকের। তাই তামাক সেবনকে জীবন থেকে বিদায় করা অত্যান্ত জরুরী।
পুরুষ হোক বা মহিলা, ধূমপানের অভ্যাস উভয়ের জন্যই চরম ক্ষতিকর। আজকের যুগে পৃথিবীর প্রায় সকল স্থানেই কমবেশি ধূমপায়ী নারীরা রয়েছেন। মেয়েদের ক্ষেত্রে এই ধূমপানের স্বভাবকে ‘বেশি ক্ষতিকর’ বলে দাবি করছে চিকিৎসাবিদগণ। এমনকি, প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ দুইভাবেই ধূমপানের শিকার হচ্ছেন মহিলারা, যার ফলে মেয়েদের অকালে মেনোপজের হওয়া সহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতা বাড়িয়ে তুলছে এই স্বভাব। তাই এসব সমস্যার জটিলতা এড়াতেও ছেলে-মেয়ে সকলেরই ধূমপানে রাশ টানা উচিত ।