স্টাফ রিপোর্টার, উদয়পুর, ৩০ মে।।
রাজ্যে পর্যটন দফতর থেকে জগন্নাথ দীঘি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে আজ থেকে প্রায় আড়াই বছর আগে। কিন্তু এদিকে সংস্কার করতে গিয়ে দীঘির জল শুকিয়ে পলিমাটি তোলার জন্য প্রথমদিকে নামানো হয়েছিল বিভিন্ন মাটি কাটার যন্ত্র। প্রথমে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলেও বর্তমানে পলিমাটি দিঘী থেকে তোলার জন্য মাটি কাটার যন্ত্র একেবারে হঠাৎ কমে গিয়েছে।কচ্ছপ গতিতে চলছে দিঘি সংস্কারের কাজ। এর মধ্যে চলে এসেছে বর্ষা।আর তাতে করে দিঘী সংস্কারের কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। আগামী নয় মাস পরেই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
কিন্তু খুদ রাজ্যের পর্যটন দপ্তরের মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়ের নিজ বিধানসভা কেন্দ্রে। আড়াই বছর হয়ে গেছে কিন্তু এখনো পর্যন্ত জগন্নাথ দিঘি সংস্কারের কাজ সম্পূন্ন করা যায়নি।রাজন্য আমলের উদয়পুর জগন্নাথ দীঘি কচ্ছপ গতিতে সংস্কারের বিষয় নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে শুরু করেছে ইতিমধ্যেই। শহরবাসীরা বলতে শুরু করেছে আদৌ কি এই দিঘীতে আর কখনো জল দেখা যাবে তা নিয়ে উঠছে না না প্রশ্ন।যতোটুকু স্থানীয় এলাকায় খবর নিয়ে জানা গেছে এই জগন্নাথ দিঘির পূর্ব পাড়ে রয়েছে অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের অফিস।
জগন্নাথ দিঘির জল শুকিয়ে নেওয়ার কারণে অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের গাড়ি অনেকটা দূর থেকে জলভর্তি করে নিয়ে আসতে হয় আর তাতে করে প্রায়শই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে এই অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের কর্মীদের কে। বর্তমানে যে কচ্ছপ গতিতে উদয়পুর জগন্নাথ দীঘি সংস্কারের কাজ চলছে যদি তা এভাবে চলতে থাকে। তাহলে আগামী পাঁচ বছরেও নাকি এই দিঘি সংস্কারের কাজ শেষ হবে না বলে অভিমত উদয়পুর বাসীদের মনে।এদিকে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের অভিমত রাজ্যের পর্যটন মন্ত্রী লোক দেখানোর জন্য দুদিন পরপর ছুটে আসছে জগন্নাথ দেখিতে।অন্য দিকে রাজ্যের প্রাক্তন পর্যটন মন্ত্রী তথা বিধায়ক রতন ভৌমিক বহুবার এই জগন্নাথ দীঘি কে নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে বহু অভিযোগ জানালেও কোন উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি রাজ্যের বর্তমান পর্যটন মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায়ের।
শুধু সাংবাদিক সম্মেলন করে নয় বিরোধী দলের বিধায়করা রাজ্য বিধানসভায় ও উদয়পুর জগন্নাথ দীঘি কে নিয়ে চর্চা করেছিল তখন নাকি চুপ ছিল চুপ ছিল বর্তমান পর্যটন মন্ত্রী। পাঁচ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা ব্যয় করে পল্লী নিষ্কাশন করে এক মিটার গভীর করে দীঘির চার দিকে খনন করার কথা ছিল।কিন্তু মাটি তোলার ৭০ শতাংশ কাজ অসম্পূর্ণ থাকলেও দপ্তরের মন্ত্রী ইশারায় প্রায় ৩ কোটি টাকার বিল পেয়ে যায় তথাকথিত ঠিকাদার।২০১৫ সালে ভারত সরকারের পর্যটন মন্তক থেকে সদেশ দর্শন পযার্য়ের আয়তায় এই কাজটি করা অনুমোদিত আসেন। তখন থেকে কাজটি শুরু হলেও ২০১৮ সালে বিধানসভা নির্বাচন চলে আসায় কাজের গতি কিছু টা কম দেখা দেয়।
২০১৮ সালে সরকার পরিবর্তন হওয়ায় প্রণজিৎ সিংহ রায় মন্ত্রী পর্যটন দপ্তরের দায়িত্ব পেয়ে কাজটি আবার শুরু করেন।কিন্তু কিছু দিন পরে মন্ত্রী তার খাসলোককে কাজটি দেওয়া হয়, এরপর থেকে নানাহ গুঞ্জন শুরু হয়েছে।উদয়পুরবাসীর বক্তব্য রাজ্যের শাসক দলের বিধায়ক বিপ্লব কুমার দেব কে যে কারণে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে যদি ঠিক এর রকম ভাবে তদন্ত করা হয় তাহলে মন্ত্রী প্রণজিৎ সিংহ রায় কে ও সেরকম ভাবে দোষে দোষী করে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে নিতে পারে বলে উদয়পুরবাসীর অভিমত।