অনলাইন ডেস্ক, ২৭ মে।। পুজোপাঠ বা জামাকাপড়ের যত্নে ব্যবহৃত হয় কর্পূর । বাড়িতে পোকামাকড়ের উপদ্রব দূর করতেও এটি ব্যবহৃত হয়। কর্পূর ভেষজ চিকিত্সার অন্যতম উপাদান হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কর্পূরেরর এমন নানা অজানা ব্যবহার আছে, যা জানলে অবাক হবেন! কর্পূর গুঁড়ো বা তার তেলের এই সব ব্যবহার যেমন নানা অসুখ সরায়, তেমনই ত্বক পরিচর্যা ও কাজে আসে এই কর্পূর।
ত্বকের যত্নে অন্যতম উপকারী উপাদান এই কর্পূর। ত্বকে চুলকানি বা র্যাশের সমস্যাকে দ্রুত মেটায় এই কর্পূর। এক টুকরো ভোজ্য কর্পূরকে জলের সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রাখার পর ধুয়ে দিন। ত্বকে প্রদাহ ও র্যাশের সমস্যা কমে যাবে। তবে সরাসরি রক্তের সংস্পর্শে আনবেন না কর্পূরকে। এতে বিষক্রিয়া ঘটতে পারে। তাই কাটা জায়গায় কর্পূর কখনও লাগাবেন না।
শীত কালে বুকে কফ জমা,শ্লেষ্মাজনিত সমস্যা নতুন নয়। ঠান্ডা লেগে নাক বন্ধ হয়ে যাওয়াও এই ঋতুর খুব স্বাভাবিক সমস্যা। এমন হলে গরম সরষের তেলের সঙ্গে সামান্য কর্পূরর্গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এ বার রোগীর বুকে ও পিঠে এই তেল মালিশ করলে আরাম পাবেন সহজেই।
কর্পূর থেকে কিছু এসেনশিয়াল অয়েলও প্রস্তুত হয়। নারকেল তেলের সঙ্গে কর্পূর ও এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে চুলে মাখুন। সারা রাত রাখার পর সকালে শ্যাম্পু করে ধুয়ে দিন চুল। এতে যেমন চুল ঝরার পরিমাণ কমবে, তেমনই এটি খুশকির সমস্যা কমাতেও সাহায্য করবে।