অনলাইন ডেস্ক, ২০ মে।। ৩৪ বছরের পুরনো একটি অনিচ্ছাকৃত হত্যা মামলায় ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের পাঞ্জাব রাজ্যের সাবেক সভাপতি নভজোৎ সিধুকে দোষী সাব্যস্ত করে ১ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই দণ্ডাদেশ দেয় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।
কিছুদিন আগে বিধানসভার ভোটে হারের কারণে পাঞ্জাব রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতির পদ ছেড়ে দিতে হয়েছে সিধুকে। এবার এই সাজার মুখোমুখি হলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক তারকা নভজোৎ সিং সিধু।
আদালতের এই রায় ঘোষণার পরই এক টুইটবার্তায় সিধু বলেন, ‘আমি আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করব’।
যে মামলায় সিধুর সাজা হলো- সেটি দায়ের হয়েছিল ১৯৮৮ সালে, পাঞ্জাবের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় শহর পাতিয়ালায়। মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৯৮৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর পাতিয়ালার একটি গাড়ি পার্কিং স্পটে গুরনাম সিং নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন নভজোৎ সিং সিধু ও তার সহযোগী রুপিন্দর সিং সান্ধু।
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সিধু ও তার সহযোগী সান্ধু ৬৫ বছর বয়সী গুরনাম সিংকে তার গাড়ি থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনেন এবং হাতাহাতিতে জড়ান। এ ঘটনার কয়েকদিন পর মৃত্যু হয়ে গুরনাম সিংয়ের।
গুরনাম সিংয়ের আত্মীয় পরিজনরা তার মৃত্যুর জন্য সিধুকে দায়ী করে হত্যা মামলা করেন; কিন্তু অভিযোগের পক্ষে জোরালো প্রমাণ না পাওয়ায় ১৯৯৯ সালে পাতিয়ালার একটি আদালত তাকে বেকসুর খালাস দেন।
পাতিয়ালা আদালতের এ আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্টে পিটিশন করে গুরনাম সিংয়ের পরিবার-পরিজনরা। হাইকোর্ট সেই পিটিশন গ্রহণ করে ২০০৬ সালে সিধুকে দোষী হিসেবে ঘোষণা করে ৩ বছর কারাবাসের আদেশ দেয়।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেছিলেন সিধু। ২০১৮ সালে এক রায়ে সুপ্রিম কোর্ট সিধুর কারাবাসের সাজা বাতিল করে ১ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার শাস্তি দেন।
কিন্তু গুরনাম সিংয়ের পরিবার সেই আদেশ পর্যালোচনার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলে আদালত তা গ্রহণ করেন এবং বৃহস্পতিবার সেই রিভিউ আবেদনের বিপরীতেই সিধুকে এ সাজা দেয় ভারতের সর্বোচ্চ আদালত।