১০০ টি দেশের রাজধানীর নাম অনর্গল ভাবে বলতে পারে এই খুদে

অনলাইন ডেস্ক,১৬ মে।। বয়স তাঁর মাত্র ২ বছর তিনমাস, কিন্তু এতো ছোট বয়সেই এই প্রতিভা সত্যিই ভাবাই যায় না। কোনো প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষকে যদি আমাদের আশেপাশের দেশের রাজধানী জিজ্ঞেস করা যায় তাহলেই তারা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়।

আর এই ছোট্ট শিশুর এই প্রতিভা, নজর কেড়েছে সবার।এক নিমেষে অনর্গল ভাবে সে বলে ফেলতে পারে ১০০ টি দেশের রাজধানীর নাম। এর সাথে রাজ্যের ২৯ টি জেলার নামও মুখস্থ।

এই কর্মকান্ডের জেড়েই বাঁকুড়ার মেয়ে ঈশিতা মাঝি রেকর্ড বইয়ে নিজের নাম লেখিয়েছে। তবে তার মা বাবা এতে খুশি হলেও মেয়ের আরো উন্নতি দেখতে চায় তারা। তারা রায় তাদের মেয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়ুক।

আরো পড়ুন: কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ঝ’ড়ে’র পূর্বাভাস, কমলা স’ত’র্ক’তা উত্তরবঙ্গ জু’ড়ে

এখনো স্কুলে ভর্তি হয়নি ঈশিতা, কিন্তু মাত্র ২ মিনিট ২৩ সেকেন্ডের মধ্যে ১০০ টি দেশের রাজধানীর নাম সে বলতে পারে। তার সাথে ২৭ সেকেন্ডের মধ্যে ২৯ জেলার নাম বলতে পারে সে। এই কারণেই তার নাম উঠেছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে। কিন্তু মা বাবা মেয়ের আরো উন্নতি চায়।

ঈশিতার বাবা হরিশঙ্কর মাজি বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার,স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে থাকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের আবাসনে। মা তার নিজের সংসার সামলাতে ব্যস্ত। তবে বড় মেয়েকে পড়ানোর সময় ছোট মেয়ে মা শোনে সবকিছুই তা মনে রাখতে পারে অনায়াসে।

দেড় বছর বয়সে কথা শিখেছে ঈশিতা। তারপর থেকেই তার প্রতিভা থেকে আই কিউ পাওয়ার দেখে অবাক হয়ে গেছে তার মা বাবা। এরপরেই মেয়েকে দেশের রাজধানীর নাম ও জেলার নাম শেখানো শুরু করে তার মা।

আরো পড়ুন: জ্ঞানবাপী মসজিদ চ’ত্ব’রে মিললো শিবলিঙ্গ! নি’র্দি’ষ্ট এ’লা’কা সিল করার আ’দে’শ আদালতের

কয়েকদিনের মধ্যেই তা শিখে যায় সে। এরপরেই শাক সবজি, ফলমূল, মানবদেহের অঙ্গ প্রত্যঙ্গের নাম শেখানোর ক্ষেত্রেও একই কয়েকদিনের মধ্যেই তা মুখস্হ করে ফেলে সে। এমন করতে করতে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র।

এরপরেই তার মা চেষ্টা করে যাতে মেয়ের নাম ইন্ডিয়া বুক অব রেকর্ডসে স্থান পায়। এরপরেই ঈশিতার মুখস্হ করে ছড়া, কবিতা, রাজধানীর নাম, জেলার নাম সহ মোট ১৭ টি বিষয় ভিডিও করে পাঠায় তার মা বাবা । এরপরেই সমস্ত কিছু যাচাই করে স্বীকৃতি দিয়েছে ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডস।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *