টুইটার কিনে নেওয়ার চুক্তি আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন ইলন মাস্ক

অনলাইন ডেস্ক, ১৪ মে।। টুইটার কেনা স্থগিত করলেন ইলন মাস্ক। চার হাজার চারশ কোটি ডলারে টুইটার কিনে নেওয়ার চুক্তি আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এমন সিদ্ধান্তে টুইটারের শেয়ারের দাম ২০ শতাংশ কমে গেছে।

শুক্রবার এক টুইটে টেসলার প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্ক লিখেছেন, ‘টুইটার চুক্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে’। স্প্যাম এবং জাল অ্যাকাউন্টের জন্য এই ব্যবস্থা নিয়েছেন তিনি। স্প্যাম এবং ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে সর্বশেষ তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা যাচাইয়ের জন্য অপেক্ষা করার কথা বলেছেন ইলন মাস্ক।

মে মাসের শুরুতেই টুইটার জানিয়েছিল, এ বছরের প্রথম তিন মাসে তাদের প্ল্যাটফর্মে আর্থিক মূল্যায়নের উপযোগী প্রতিদিনকার নিয়মিত ব্যবহারকারীদের মধ্যে স্প্যাম বা ভুয়া অ্যাকাউন্ট পাঁচ শতাংশেরও কম।

ভুয়া অ্যাকাউন্ট নিয়ে প্রথম থেকেই ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়ে আসছেন মাস্ক। টুইটার কেনার প্রস্তাব দেওয়ার শুরু থেকেই ‘স্প্যাম বট’ মুছে দিয়ে প্ল্যাটফর্মের সেবা আরও উন্নত করার কথা বলে আসছেন মাস্ক।

প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট ভার্জ জানিয়েছে, টুইটারের সর্বশেষ প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন থেকেই জটিলতার সূত্রপাত। কয়েক সপ্তাহ আগে প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটি বলেছিল, টানা তিন বছর ধরে প্রতিদিনের নিয়মিত ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়িয়ে হিসাব করেছে তারা।

টুইটার বলছে, কারিগরি জটিলতার কারণে একই ব্যবহারকারীর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একাধিক অ্যাকাউন্টকে আলাদা ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট হিসেবে গণনা করেছে তারা। এর ফলে, প্রতি প্রান্তিকে ব্যবহারকারীর সংখ্যা অন্তত ১৯ লাখ বাড়িয়ে হিসেব করা হয়েছে।

গত তিন মাসে ১ কোটি ৩০ লাখ নতুন টুইটার ব্যবহারকারী বেড়েছে। যা মহামারী করোনার পর সর্বোচ্চ বলে জানাচ্ছে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম।

তার মধ্যে মাস্কের কেনার আগে পর্যন্ত টুইটার বেশ কয়েকটি ঝুঁকির সম্মুখীন হয়। যেমন, মাস্ক টুইটার কেনার পর বিজ্ঞাপনদাতারা আর টুইটারে ব্যয় করবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দেয়।

গত ২৫ এপ্রিল টুইটারের মালিকানা পান ইলন মাস্ক। প্রায় ৪,৪০০ কোটি ডলারে এই সংস্থাটি কেনেন তিনি। টুইটার কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে বিপুল অঙ্কের অর্থ ঋণ নিয়েছেন মাস্ক। তা শোধ করার জন্য শেষ পর্যন্ত তাঁকে কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন এই মার্কিন ধনকুবের। পাশাপাশি, খরচ কমানোর উদ্দেশ্যে সংস্থার কিছু উচ্চপদস্থ কর্মীর বেতনও কমানো হতে পারে বলে ঋণদাতা সংস্থাগুলিকে জানিয়েছিলেন তিনি।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *