অনলাইন ডেস্ক, ২৬ এপ্রিল।। যত কান্ড যোগী রাজ্যে। সাংবাদিককে নগ্ন অবস্থায় ভিডিও করেছিলেন ছয় পুলিশকর্মী। সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই চাপের মুখে কড়া পদক্ষেপ নিল যোগী প্রশাসন।ঘটনাটি ঘটেছে কানপুরে, মোট ২ জন পুলিশ কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, চারজনকে অ্যাটাচ করা হয়েছে পুলিশ লাইনে।
ঠিক কি ঘটেছিল,গত ২০ এপ্রিল দুটো ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। তাতে দেখা যায় এক সাংবাদিকে কপাল থেকে রক্ত ঝরছে, তিনি সম্পূর্ন নগ্ন। সেই ঘটনার ভিডিও করছেন এক পুলিশকর্মী। এইহেন ভিডিও সামনে আসতেই শুরু হয়ে যায় হইচই।
অভিযোগ, সেই সাংবাদিক মদের নেশায় নিজের বাবার কারখানায় আগুন লাগিয়ে দেন। কিন্তু এই ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই কানপুরের সাংবাদিক মহল স্তম্ভিত হয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। কানপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি অবনীশ দীক্ষিতের মতে দরকার হলে সেই সাংবাদিককে গ্রেফতার করা যেত। কিন্তু তাঁর নগ্ন ভিডিও এইভাবে ছড়িয়ে দেওয়া অত্যন্ত ঘৃণ্য এক কাজ।
এই মামলার তদন্ত কারী অফিসার হলেন কানপুর রেঞ্জের ইন্সপেক্টর জেনারেল প্রশান্ত কুমার। তিনি এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, ঘটনা দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, সাসপেন্ড হওয়া পুলিশকর্মীদের মধ্যে একজন সাবইন্সপেক্টরও রয়েছেন। কানপুরের আইজি জানিয়েছেন সার্কেল অফিসার হৃষীকেশ যাদবও এই ঘটনার তদন্ত করছেন।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন সোচ্চার হয়েছে। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের একজন প্রতিনিধিকে এই ভাবে হেনস্থার ঘটনায় বাড়ছে ক্ষোভ। যদি ওই সাংবাদিক দোষী হয়েও থাকেন তাঁকে শাস্তি দিতে আইন আছে। কেন একজন আহত সাংবাদিককে নগ্ন করে সেটা ভাইরাল করা হল। যোগীর উত্তরপ্রদেশে কোথায় গিয়েছে আইন শৃঙ্খলার অবস্থা। সাংবাদিক হেনস্থার এই ঘটনা তা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল।