স্টাফ রিপোর্টার, তেলিয়ামুড়া, ২৬ এপ্রিল।। প্রত্যন্ত এলাকায় অজানা পোকার আক্রমণের কারণে একাংশ দিন-দরিদ্র উপজাতি গিরিবাসীদের কপালে চিন্তার ভাজ। কারণ, বনাঞ্চলে রকমারির বিভিন্ন সব্জিতে অজানা পোকার আক্রমণ। ফলে বনাঞ্চলের সব্জি গুলো’তে অঙ্কুরেই বিনাশ হয়ে যাচ্ছে বলে খবর। এনিয়ে তেলিয়ামুড়া কৃষি তত্ত্বাবধায়ক রাজীব দে দিবা নিদ্রায় আচ্ছন্ন।
কারণ, উপজাতি গিরি বাসীদের রুটি-রুজির সন্ধান বনাঞ্চলের গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ বাজারজাত করে নিজেদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করছে সেই অনাদিকাল থেকেই। ঘটনা আঠারোমুড়া পাহাড়ের বনাঞ্চলের বিভিন্ন পাদদেশে। ওই সব এলাকার গিরিবাসীরা মূলত জুম চাষী হলেও জুম চাষের অ-সময় কালে তারা বনাঞ্চলের গুল্ম জাতীয় সব্জি সংগ্রহ করে বাজারজাত করে নিজেদের ভরণ পোষণ করে। ওইসব গুল্ম জাতীয় সব্জি গুলির মধ্যে রয়েছে ঢেঁকি শাক, তুঁত বেগুন সহ অন্যান্য সব্জি গুলোর মধ্যে অজানা পোকার আক্রমণের কারণে তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ। কারন ঐ সকল গিরিবাসীদের খেয়ে-পরে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হল এই গুল্মজাতীয় সব্জি গুলোকে বাজারজাত করা কিন্তু, বর্তমানে ঐসকল গুল্মজাতীয় সব্জি গুলিতে অজানা পোকার আক্রমণের ফলে তারা এক প্রকার দিশেহারা হয়ে পড়েছে।
মূলত, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে চিরাচরিত প্রথা অনুযায়ী এই অজানা পোকার আক্রমণ হয়। আর এই অজানা কথাগুলো এতটাই ভয়ংকর হয় যে, সেগুলো যদি কোন ব্যাক্তির সংস্পর্শে আসে তবে ওই ব্যাক্তির সেই স্থান সম্পূর্ণভাবে ঝলসে যায়। এমন খবর তেলিয়ামুড়া মহাকুমা কৃষি তত্ত্বাবধায়ক রাজীব দে-এর এক নজরে থাকলেও কোনো এক অজ্ঞাত কারণে প্রত্যন্ত এলাকা গুলিতে যান না বলে অভিযোগ। তাছাড়া তিনি দায়সারা মনোভাব নিয়ে নিজের কর্তব্য পালন করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। অথচ ঐসকল এলাকার দিন দরিদ্র গিরিবাসীদের দাবি তাদের এই সমস্যা নিরসনে অতি দ্রুত যেন প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করে কৃষি দপ্তর। তবে বাস্তবে কতটা কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তেলিয়ামুড়া মহাকুমা কৃষি তত্ত্বাবধায়ক রাজীব বাবু সেটাই এখন দেখার বিষয়।