পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যই বিধায়ক পদে পদত্যাগ করেছি : আশিষ সাহা

 

স্টাফ রিপোর্টার, আগরতলা, ২২ এপ্রিল।। পাপের প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যই নিজেদের বিধায়কের পদত্যাগপত্র টেন্ডার করা হয়েছে। শুক্রবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনের সাংবাদিক সম্মেলন করে এমনটাই বললেন প্রাক্তন বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচন এবং পুর নির্বাচনের আগেও ময়দানে নেমে তিনি ব্যক্তিগত ভাবে এ ধরনের ঘৃণ্য রাজনীতি বন্ধ করার জন্য দাবি তুলেছেন। কারণ জনগণের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হোক সেটা কখনো মেনে নেননি।যখন যে দলে ছিলেন সেই দলে থেকেই প্রতিবাদ গড়ে তুলেছিলেন বলে জানান তিনি। আরো বলেন, গত বৃহস্পতিবার সর্বভারতীয় কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা প্রদেশ কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক ড: অজয় কুমারের নেতৃত্বে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বীরজিৎ সিনহা, প্রাক্তন বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন, সর্বভারতীয় সম্পাদিকা জারিতা লাফলাং, লিগাল সেলের আইনজীবী বরুণ কুমার চৌহান জাতীয় নির্বাচন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে যান। সেখানে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতৃত্বদের সহায়তায় নির্বাচন কমিশনারের সাথে দেখা করে উপনির্বাচনে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন করার জন্য দাবি জানানো হয়েছে। কারণ ২০১৮ পর যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলিতে বিরোধীদলের মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র পর্যন্ত জমা দিতে পারেনি। তাই অবগত করা হয়েছে বর্তমানে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা অবনতি অবস্থান সম্পর্কে। কারণ বিভিন্ন নির্বাচন আধিকারিকের অফিস মনোনয়নপত্র জমা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয়েছে, নির্বাচনের দিন পোলিং এজেন্টদের বের করে দেওয়া হয়েছে। মারধর করা হয়েছে এবং নানাভাবে টেলিফোনে ও প্রকাশ্য রাস্তায় তাদেরকে হুমকি প্রদান করেছে।প্রহসনে পরিণত করে নির্বাচন সম্পন্ন করেছে বিজেপি। তাই কংগ্রেস নির্বাচন কমিশনকে এই বিষয়গুলি অবগত করে ত্রিপুরা আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে একটি হাই লেভেল ডেলিগেশন টিমকে রাজ্যে পাঠানোর জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন অবগত হয়েছেন এবং তারা আশ্বস্ত করেছেন এ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার পরিপ্রেক্ষিতে এই বিষয়গুলি নিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানান। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের শুধু বিরোধী দলের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত শুধু তারাই নয়, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে যারা বিবেচিত হয় তারাও আক্রান্ত হয়েছে তার জন্য তীব্র নিন্দা জানান আশীষ কুমার সাহা। তাই উপনির্বাচনের প্রতিটি এলাকায় এবং অঞ্চলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দ্বারা নিরাপত্তার দাবি জানানো হয়েছে। যাতে ভোটাররা নিরাপদে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারে, তার জন্য ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলার জন্য নির্বাচন কমিশনারকে অবগত করা হয়েছে। আর যদি মনে করে এই অব্যবস্থায় উপনির্বাচন গ্রহণ করা যাবে এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ রয়েছে তাহলে নির্বাচন করার বিষয়ে অবগত করা হয়। কংগ্রেস উপনির্বাচনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *