মানব সভ্যতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বৈচিত্র্য রয়েছে

।। বিশ্ব ঐতিহ্য দিবস ।।

ঐতিহ্য বলতে মূলত অতীতের জীবনযাপন ও নিদর্শনকে বুঝায় যার অন্তর্ভুক্ত থাকে শিল্প ভাষা, সংস্কৃতি , খাদ্যভ্যাস ইত্যাদি। ঐতিহ্য বলতে পরম্পরাগত সিষ্টাচার ও গৌরবময় ইতিহাস কে বুঝায় যার প্রভাব থেকে যায় যুগ যুগ ধরে। মানব সভ্যতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের বৈচিত্র্য রয়েছে, ভিন্ন অঞ্চলে ঐতিহ্যগত পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়ে থাকে।

বিশ্ব ঐতিহ্য দিবসের তাৎপর্য নিয়ে কথা বলতে গেলে বলতে হয় যে, এই দিবসটি সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং স্মৃতিস্তম্ভের ইতিহাস সম্পর্কিত সচেতনতা ছড়ানোর জন্য, ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান প্রদানের মাধ্যমে আগত প্রজন্মের কাছে তাদের গৌরবময় অতীতের গুরুত্বকে তুলে ধরা সম্ভব এবং বিশ্বব্যাপী ঐতিহ্যকে কেন সংরক্ষণ করা প্রয়োজন তা সম্পর্কে সচেতন করার উদ্দেশ্যে পালিত হয়। ভারতেও বেশ কয়েকটি হেরিটেজ সাইট রয়েছে। ভারতের এই নিদর্শনগুলো আমাদের সংস্কৃতির মাহাত্ম্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরে।

একনজরে দেখা যাক, ইউনেস্কো স্বীকৃত ভারতের বিশ্ব ঐতিহ্য স্থল বা হেরিটেজ সাইটগুলি —

★ ভারতের প্রাকৃতিক বিশ্ব ঐতিহ্য স্থলঃ-

• কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান (আসাম ; ১৯৮৫)

• মানস বন্যপ্রাণ অভয়ারণ্য (আসাম ; ১৯৮৫)

• সুন্দরবন জাতীয় উদ্যান (পশ্চিমবঙ্গ ; ১৯৮৭)

• কেওলাদেও জাতীয় উদ্যান (রাজস্থান ; ১৯৮৫)

• নন্দাদেবী এবং ভ্যালি অফ ফ্লাওয়ার্স জাতীয় উদ্যান (উত্তরাখন্ড ; ১৯৮৮ এবং ২০০৫)

• পশ্চিমঘাট পর্বত (মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, কেরালা, তামিলনাড়ু ; ২০১২)

(৭) গ্রেট হিমালয়ান জাতীয় উদ্যান (হিমাচলপ্রদেশ ; ২০১৪)

 

★ ভারতের বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য স্থলঃ-

•আগ্রা দুর্গ (উত্তরপ্রদেশ ; ১৯৮৩)

• তাজমহল (উত্তরপ্রদেশ ; ১৯৮৩)

• ফতেপুর সিক্রি (উত্তরপ্রদেশ ; ১৯৮৬)

• অজন্তা গুহা (মহারাষ্ট্র ; ১৯৮৩)

• ইলোরা গুহা (মহারাষ্ট্র ; ১৯৮৩)

• এলিফ্যান্টা গুহা (মহারাষ্ট্র ; ১৯৮৭)

• মুম্বাই-এর ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাস (মহারাষ্ট্র ; ২০০৪)

• মুম্বাই-এর ভিক্টোরিয়ান গোথিক ও আর্ট ডেকো স্থাপত্য সমাহার (মহারাষ্ট্র ; ২০১৮)

• মহাবলীপুরমের স্মারকসমূহ (তামিলনাড়ু ; ১৯৮৪)

• মহান চোল মন্দিরসমূহ (তামিলনাড়ু ; ১৯৮৭)

• নীলগিরি পার্বত্য রেলপথ (তামিলনাড়ু ; ২০০৫)

• কালকা-সিমলা রেলপথ (হিমাচলপ্রদেশ ; ২০০৮)

• কোনার্ক সূর্য মন্দির (ওড়িশা ; ১৯৮৪)

• পত্তদকল স্মারকসমূহ (কর্ণাটক ; ১৯৮৭)

• হাম্পির স্মারকসমূহ (কর্ণাটক ; ১৯৮৬)

• খাজুরাহোর স্মারকসমূহ (মধ্যপ্রদেশ ; ১৯৮৬)

• সাঁচী বৌদ্ধস্তূপ (মধ্যপ্রদেশ ; ১৯৮৯)

• ভীমবেটকার প্রস্তর আশ্রয়স্থলসমূহ (মধ্যপ্রদেশ ; ২০০৩)

• গোয়ার চার্চ ও আশ্রম (কনভেন্ট) (গোয়া ; ১৯৮৬)

• হুমায়ুনের সমাধি (দিল্লি ; ১৯৯৩)

• কুতুব মিনার ও তৎসংলগ্ন স্মারকসমূহ (দিল্লি ; ১৯৯৩)

• দিল্লির লালকেল্লা (দিল্লি ; ২০০৭)

• ভারতের পার্বত্য রেলপথ — দার্জিলিং হিমালয়ান রেলপথ (পশ্চিমবঙ্গ ; ১৯৯৯) ;

• বোধগয়ার মহাবোধি মন্দির চত্বর (বিহার ; ২০০২)

• নালন্দা মহাবিহার প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চল (বিহার ; ২০১৬)

• চম্পানের-পাবাগড় প্রত্নতাত্ত্বিক অঞ্চল (গুজরাট ; ২০০৪)

• রাণী কি বাব (গুজরাট ; ২০১৪)

• আমেদাবাদের ঐতিহাসিক শহর (গুজরাট ; ২০১৭)

• জয়পুরের যন্তর মন্তর (রাজস্থান ; ২০১০)

• রাজস্থানের পার্বত্য দূর্গসমূহ — চিতোরগড়, কুম্ভলগড়, রণথম্ভোর, অম্বর, জয়সলমীর, গাগরোন (রাজস্থান ; ২০১৩)

• লি কার্বুজিয়ের স্থাপত্যকলা ও বাস্তুশিল্প (চন্ডীগড় ; ২০১৬)

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *