অনলাইন ডেস্ক, ৮ এপ্রিল।। পাসপোর্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি নথি। নাগরিকত্বের অনেক প্রমাণ এই পাসপোর্ট। এবার সেই জরুরি নথিপত্রে পরিবর্তন আনতে চলেছে কেন্দ্র সরকার। একটি বিশেষ ইলেক্ট্রিক চিপ। বিদেশ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, কাগজ ও ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট সম্মিলিতভাবে ই-পাসপোর্টে থাকবে।
এই অত্যাধুনিক পাসপোর্টে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশ বা আরএফআইডি চিপ বসানো থাকবে। শুধুমাত্র বিমানে চেপে বিদেশ যাওয়াই নয় পাসপোর্টে নাগরিকত্বের সব থেকে বড় প্রমাণপত্র। তাই এই সময়ে পাসপোর্ট থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরণ জানিয়েছেন ২০২২-২৩ থেকে দেশের নাগরিকদের ই-পাসপোর্ট দেওয়ার পরিকল্পনা করছে কেন্দ্রীয় সরকার।
রাজ্যসভাতে মুরলীধরণকে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে ২০২২ থেকেই কি ই-পাসপোর্ট চালু হবে? প্রশ্নের উত্তরে সরকারের পরিকল্পানার কথা জানিয়েছেন বিদেশ প্রতিমন্ত্রী। পাসপোর্টের ব্যাক কভারে একটি অ্যান্টেনাও বসানো থাকবে বলেই জানিয়েছেন মন্ত্রী।
পাসপোর্টের ডাটা পেজে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলি মুদ্রিত থাকবে এবং ওই চিপে সব তথ্য জমা হবে।
বিদেশ প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, কাগজ ও ইলেকট্রনিক পাসপোর্ট সম্মিলিতভাবে ই-পাসপোর্টে থাকবে। এই অত্যাধুনিক পাসপোর্টে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশ বা আরএফআইডি চিপ বসানো থাকবে।
ই-পাসপোর্ট সাধারণ পাসপোর্টের একটি ডিজিটাল সংস্করণ।এতে ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ থাকবে। এছাড়াও,এটি পাসপোর্ট ধারকের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা তথ্য সংরক্ষণ করবে।পাসপোর্টধারীর নাম, জন্ম তারিখ এবং অন্যান্য তথ্য মাইক্রোচিপে সংরক্ষিত থাকে।
ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হওয়ার পর সাধারণ পাসপোর্ট,যা আমরা এখন পর্যন্ত ব্যবহার করে আসছি, তা হারিয়ে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, ছিঁড়ে যাওয়া ইত্যাদি ঝামেলা থেকে মুক্ত হবে। এটির সঙ্গে, আপনার ব্যক্তিগত তথ্যও এখন আরও সুরক্ষিত হবে। ই-পাসপোর্ট সেবা চালু হওয়ার পর সাধারণ পাসপোর্ট,যা আমরা এখন পর্যন্ত ব্যবহার করে আসছি, তা হারিয়ে যাওয়া, পুড়ে যাওয়া, ছিঁড়ে যাওয়া ইত্যাদি ঝামেলা থেকে মুক্ত হবে।