অনলাইন ডেস্ক, ২ এপ্রিল।। হাসপাতালে রোগীর পাশাপাশি কুকুর, ইঁদুর ঘুরে বেড়ানোর ঘটনার নতুন কিছু নয়। অনেক সময় হাসপাতালের মধ্যে বা, বাইরে জঞ্জালের স্তূপের মধ্যেই যত্রতত্র আনাচেকানাচে এদের অবাধ বিচরণ দেখা যায়। তবে এবার সেই ইঁদুরের কামড়েই প্রাণ গেল এক রোগীর। ইন্টেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ)তে ভর্তি ছিলেন তিনি। সেখানে ইঁদুরের কামড়ে মৃত্যু হয়ে এই রোগীর। তেলেঙ্গনার ওয়ারাঙ্গাল জেলার ঘটনা। সেখানের এমজিএম হাসপাতালে এই ঘটনা ঘটেছে। গত পাঁচদিন আগে ওই রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর শারীরিক অবস্থা অবনতি হওয়ার কারণে তাঁকে আইসিইউ-তে স্থানান্তরিত করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ব্যক্তির প্রথমে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। পাঁচদিন আগেই তাঁকে ওয়ারাঙ্গালের ওই হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। মাল্টি-অর্গান ফেলিওরের ওই রোগী প্রথম দিন থেকেই অচেতন অবস্থায় ছিলেন। তাঁকে আর্টিফিসিয়াল ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই রোগীর দেখভালের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি রুমে ঢুকে দেখেন এই মারাত্মক কাণ্ড। রোগীর পায়ের পাতা ও গোড়ালি থেকে রক্ত বের হতে দেখেন। ক্ষত দেখেই তিনি বুঝতে পারে ইঁদুরের কামড়ে এই কাণ্ড ঘটেছে। রোগীর পরিবারের কাছে এই খবর পৌঁছতেই ঝামেলার সূত্রপাত হয়। শেষ অবধি শুক্রবার ওই রোগীর মৃত্যু হয়।
হাসপাতালের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, গোটা হাসপাতাল জুড়েই ইঁদুরের উপদ্রব রয়েছে। আইসিইউতেও প্রচুর ইঁদুর ঘোরাফেরা করে। অনেক কর্মচারী-রোগীরাও ইঁদুরের কামড় খেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতিই হাসপাতালের ড্রেনের লাইনের সংস্কার শুরু হয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, সাফাই কর্মীদের শো-কজ নোটিস দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় হাসপাতালের সুপারিন্ডেন্ট ও দুই চিকিৎসককেও বদলি করে দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশে প্রাথমিক তদন্তের পর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের বিরুদ্ধ গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে মৃতের পরিবারের লোকেরা। গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টি হরিশ রাও।