অনলাইন ডেস্ক, ৩০ মার্চ।। মঙ্গলবার মতুয়া মহাধর্ম মেলায় বিকাল সাড়ে চারটেতে ভার্চুয়াল বক্তব্য রাখার কথা হলেও তার সময় পিছিয়ে হয় রাত ৯টা। মতুয়াদের পাশে থাকার বার্তা দিলেন সুনিপুণ ভাবে। রাজ্যে রাজনৈতিক হিংসা নিয়েও সুর চড়ালেন। তবে নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে করলেন না একটাও শব্দ খরচ।
মঙ্গলবার মতুয়া ধর্ম মহামেলায় ভার্চুয়ালি ভাষণে মোদি বলেন, ‘কোথাও কারও কাউকে যদি অত্যাচার করা হয়, তাহলে অবশ্যই আওয়াজ তুলুন। সমাজ ও দেশের প্রতি এটা আমাদের কর্তব্য। রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু রাজনৈতিক বিরোধিতার কারণে যদি হিংসাত্মক কাজ করে, ভয় দেখিয়ে বা হুমকি দিয়ে কাউকে আটকানো হয়, তাহলে সেটা অপরজনের রাজনৈতিক অধিকার ছিনিয়ে নেওয়া হয়। সমাজের কোথাও যদি হিংসা, অরাজতকতার মানসিকতা থাকে, তার বিরোধিতা করা আমাদের কর্তব্য।’’
মোদি গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় তৃণমূল কংগ্রেসের বহিরাগত তত্ত্ব নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েন নি তিনি।
তিনি বলেন, ”স্বার্থের জন্য সমাজে যখন খুন-খারাপি হয়, বিভেদ তৈরির চেষ্টা করা হয়, ভাষা-অঞ্চলের ভিত্তিতে আলাদাভাবে চিহ্নিত করার প্রবণতা দেখি, তথন শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরজি’র জীবন, দর্শন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যায়। তাই এই মেলা এক ভারত, শক্তিশালী ভারতের ধারণাকে দৃঢ় করে তুলবে”
মতুয়াদের সমর্থন ধরে রাখতে তাঁর চেষ্টার কসুর ছিলনা। মঙ্গলবার সকালেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বড় মার সঙ্গে ২০১৯ সালের ছবি ট্যুইটে শেয়ার করে স্মৃতি উস্কে নেন।