আত্মসমর্পণের সময়সীমা পার হলেও আত্মসমর্পণ করেনি মারিউপোল

অনলাইন ডেস্ক, ২১ মার্চ।। বন্দরনগরী মারিউপোলকে আত্মসমর্পণের জন্য সোমবার ভোর ৫টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছিল রুশ বাহিনী। কিন্তু ইউক্রেন তা প্রত্যাখ্যানের পর ইতিমধ্যে চূড়ান্ত সময়সীমা পেরিয়ে গেছে। খবর সিএনএন।

এ শহরে যুদ্ধের আগে সাড়ে চার লাখের মতো বাসিন্দা ছিলেন। মার্চের শুরু থেকে রুশ বাহিনীর কাছ থেকে ক্রমাগত আক্রমণের শিকার হয়ে অনেকে মারিউপোল ছেড়েছে। আবাসিক এলাকায় উল্লেখযোগ্য পরিমাণ ধ্বংসের প্রমাণ পাওয়া গেছে স্যাটেলাইট চিত্রে।

আর্ট স্কুল থেকে শুরু করে থিয়েটার, ইস্পাত কারখানাসহ বিভিন্ন স্থানে আক্রমণ করেছে রুশ বাহিনী।

রাশিয়ার প্রস্তাব অনুযায়ী, আত্মসমর্পণ করলে যারা শহর ত্যাগ করতে চায় তাদের নিরাপদে যেতে দেওয়া হবে। তবে অন্যদের বিষয়ে তারা কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি।

আগেই রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে মারিউপোলে বারবার বেসামরিক লোকদের লক্ষ্যবস্তু করার অভিযোগ আনা হয়। আটকে পড়া বাসিন্দারা ওই আক্রমণকে ‘নরক’ বলে বর্ণনা করেছেন।

শহরটিতে হামলার ফলে মৌলিক সব সেবা সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। বাসিন্দারা গ্যাস, বিদ্যুৎ বা পানির সংযোগ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছেন। এমনকি সৎকারের কেউ না থাকায় বা বিপজ্জনক পরিস্থিতির কারণে মৃতদেহ রাস্তায় ফেলে রাখা হচ্ছে।

একজন কর্মকর্তা জানান, বাসিন্দারা ভূগর্ভস্থ আশ্রয়কেন্দ্রগুলো ছেড়ে যেতে ভয় পাচ্ছে। তারা কম পরিমাণ পানি ও খাবার খেয়ে কোনোরকমে বেঁচে থাকার চেষ্টা করছে।

মারিউপোল কৌশলগত বন্দর হওয়ায় শুরু থেকেই রাশিয়ার নজরে ছিল। এটি ক্রিমিয়া উপদ্বীপের সঙ্গে দনবাসের পূর্ব অঞ্চলকে সংযুক্ত করা উপকূলের একটি প্রসারিত অংশে অবস্থিত। ওই দুই অঞ্চল ২০১৪ সাল থেকে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। মারিউপোল নিয়ন্ত্রণ করা গেলে যাদের মধ্যে একটি স্থল করিডর তৈরি হবে।

যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের হুমকি ও নিষেধাজ্ঞা আমলে না নিয়ে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন আক্রমণ করে রাশিয়া। এর পর থেকে দেশটির বিস্তৃত অংশ ভ্লাদিমির পুতিনের সেনাদের নিয়ন্ত্রণে।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *