আফগানিস্তানে মেয়েদের হাইস্কুলে পড়ার অনুমতি দিচ্ছে তালেবান

অনলাইন ডেস্ক, ১৮ মার্চ।। আফগানিস্তানে মেয়েদের হাইস্কুলে পড়ার অনুমতি দিচ্ছে তালেবান। আগামী সপ্তাহে আফগানিস্তানের সব হাইস্কুল খুলছে। সেখানে ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েরাও যেতে পারবে। তবে তাদের কিছু শর্ত মানতে হবে। মেয়েদেরকে ছেলেদের থেকে আলাদাভাবে ক্লাস করানো হবে।

তালেবানের অধীনে থাকা আফগানিস্তানে মেয়েদের শিক্ষার বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অনিশ্চয়তা ছিল। এই ঘোষণার পর সেই অনিশ্চয়তা কাটলো।

আফগানিস্তানের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আজিজ আহমেদ রায়ান বলেছেন, ‘সব হাইস্কুল আগামী সপ্তাহে ছেলে ও মেয়েদের জন্য খুলছে। মেয়েদের পড়ার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত থাকছে। তারা ছেলেদের সঙ্গে পড়তে পারবে না। তাদের আলাদাভাবে পড়ানো হবে। নারী শিক্ষিকারা তাদের পড়াবেন’।

গ্রামের দিকে শিক্ষিকার অভাব রয়েছে। সেখানে বয়স্ক পুরুষ শিক্ষকরা পড়াবেন বলে রায়ান জানিয়েছেন।

রায়ান বলেছেন, ‘এই বছর কোনো স্কুল আর বন্ধ থাকবে না। যদি কোনো স্কুল বন্ধ থাকে, তাহলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় দায়িত্ব নিয়ে সেটা খুলবে’।

অধিকাংশ দেশ তালেবান শাসনাধীন আফগানিস্তানকে স্বীকৃতি দেয়নি। তারা বারবার করে মানবধিকার ও নারী অধিকারের বিষয়টি তুলেছে। তাদের অন্যতম দাবি ছিল, মেয়েদের শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। আফগানিস্তানকে ত্রাণসাহায্য দেয়ার ক্ষেত্রেও নারী অধিকার ও শিক্ষার বিষয়টি তারা সামনে এনেছে।

এর আগে ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত আফগানিস্তান শাসন করেছে তালেবান। তখন তারা মেয়েদের শিক্ষা নিষিদ্ধ করে দিয়েছিল। অধিকাংশ চাকরিই মেয়েরা করতে পারত না।

গত বছর তালেবানরা ফের আফগানিস্তানের শাসন ক্ষমতা দখল করার পর মেয়েদের তুলনায় ছেলেরা অনেক বেশি সংখ্যায় স্কুল ও কলেজে ফিরতে পেরেছে। তালেবান এখন বলছে, তারা নারীদের অধিকারকে সম্মান করে।

তবে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নারী অধিকার সংক্রান্ত শাখার ডিরেক্টর হিথার বার বলেছেন, ‘মেয়েদের জন্য স্কুল খুলছে মানে যে সমাজে নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে, এমন মনে করা ঠিক হবে না’।

 

 

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *