হামলার ২০তম দিনে রাজধানী কিয়েভে গেলেন ইউরোপের তিন দেশের প্রধানমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক, ১৬ মার্চ ।। ইউক্রেনে রাশিয়ান হামলার ২০তম দিনে রাজধানী কিয়েভে গেলেন ইউরোপের তিনটি দেশের প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার পোল্যান্ড, স্লোভেনিয়া ও চেক প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী ট্রেনযোগে কিয়েভে যান। খবর বিবিসির।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিক থেকে নিরাপত্তা ঝুঁকির সতর্কবাণী সত্ত্বেও তিন প্রধানমন্ত্রীর এ সফরের উদ্যোক্তা ছিল পোল্যান্ড।

তিন প্রধানমন্ত্রী ট্রেনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন কারণ পোলিশ সামরিক জেটের উড্ডয়ন রাশিয়ার কাছে বিপজ্জনক উসকানি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।

পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাতিউস মোরাভিয়েস্কি বলেছিলেন, নতুন ইতিহাস তৈরি হতে যাচ্ছে ইউক্রেনের রাজধানীতে।

মঙ্গলবার বিকেলে কারফিউ বলবৎ হওয়ার পর কিয়েভে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিন প্রধানমন্ত্রী।

পরে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ব্রিফিং করেন তারা। উভয় নেতা তিন প্রধানমন্ত্রীকে তাদের সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান।

এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই ইউক্রেনর রাজধানী কিয়েভের ওপর যুদ্ধবিমান দিয়ে হামলা চালায় রাশিয়া। বিমান প্রস্তুতকারক সংস্থা অ্যান্টোনোভ সিরিয়াল প্রোডাকশন প্ল্যান্টের উপর একের পর এক গোলাবর্ষণ করে।

ইউক্রেনের দাবি, মঙ্গলবারের এই হামলায় দুই নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও সাতজন। ওই বিমান প্রস্তুতকারক কারখানা থেকে ৭০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে বলে স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে।

কিয়েভের এক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রাতভর উত্তর-পূর্ব কিয়েভে বোমা এবং গোলাবর্ষণ করেছে রুশ সেনা। হামলা চালানো হচ্ছে পূর্ব কিয়েভেও। অন্য দিকে, উত্তর-পশ্চিমের ইরপিন, বুচা এবং হসটোমেলে গত কয়েক দিন ধরেই হামলার তেজ বাড়িয়েছে রাশিয়া।

বিমান হামলার পর, ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে ৩৫ ঘণ্টার কারফিউ জারি করা হয়।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত বিরতিহীন এই কারফিউ জারি করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই যুদ্ধ ১৯ দিন পেরিয়ে ২০ দিনে গড়িয়েছে। রুশ হামলার তেজ বেড়েই চলেছে ইউক্রেনের শহরগুলিতে। এক একটি শহর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। খাঁ খাঁ করছে শহর। শহরের পর শহর ছেড়ে লাখ লাখ লোক পালাচ্ছেন প্রতিবেশী দেশ পোল্যান্ড, হাঙ্গেরি এবং রোমানিয়ায়।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *