গান্ধিতে আস্থা হারাচ্ছে দল

অনলাইন দেস্ক, ১৪ মার্চ।। কংগ্রেস দলের চালকের আসনে আর দেখা যাবেনা তাঁদের। ব্যর্থতার পর ব্যর্থতা। পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে ভরাডুবি। উত্তর প্রদেশে ৪০৩টি আসনে মাত্র ২ টিতে জয়। দেশের সব থেকে বড় রাজ্য ইউপিতে মাত্র ২.৩ শতাংশ ভোট প্রাপ্তি। জিতে থাকা পাঞ্জাব রাজ্যও হাত ছাড়া। স্বাধীনতার পর কংগ্রেস দলের এমন খারাপ সময় বোধ হয় আর কখনই আসেনি।

দলের ব্যর্থতা তো নের্তৃত্বের ব্যর্থতারই সমর্থক। স্বভাবতই গান্ধিতে আস্থা হারাচ্ছে দল। বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, রবিবার কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেই নেতৃত্বের রাস ছাড়ছে গান্ধী পরিবার। পদত্যাগ করবেন তিন গান্ধী। ১৯৯৮ সালের পর অর্থাৎ প্রায় দুই দশক পর এই প্রথম গান্ধী বিহীন কংগ্রেস দেখবে দেশ? ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক সমাপ্ত হওয়ার পূর্বে যদিও কিছু নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হচ্ছেনা। কমিটিতে গান্ধীপরিবারের অনুগত সদস্যরা মেনে নাও নিতে পারেন তাঁদের পদত্যাগ।

এই প্রথম নয়, ইতিপূর্বে সোনিয়া গান্ধী, পুত্র রাহুল গান্ধী পদত্যাগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। কিন্তু দল মেনে নেয়নি। রাহুল গান্ধীকে প্রচ্ছন্ন করে, প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর কথা ভেবেছিল দলের একাংশ। আশা করা হয়েছিল তিনি ক্যারিশমেটিক নেতা হিসেবে নিজের সাংগঠনিক যোগ্যতা তুলে ধরবেন।দেওয়া হয়েছিল উত্তর প্রদেশের মত গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যের দায়িত্ব কিন্তু তিনি শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ।

পাঁচ রাজ্যে তাদের যে ভরাডুবি, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশে তাঁদের এক ১ অঙ্কের ঘরে নেমে আসা দলের অস্তিত্ব সংকটের প্রশ্নকেই উস্কে দিয়েছে। এখন কংগ্রেসের থেকে জাতীয় স্তরে কেজরিওয়ালের আপ অনেক বেশি প্রাসঙ্গিক।

নির্বাচনী লড়াইয়ে কংগ্রেসের গ্রাফ যেভাবে নিম্নমুখী হচ্ছে তা শঙ্কাজনক। এরপর রাজ্যস্তরেও নিজের প্রাসঙ্গিকতা রাখতে পারবে তো দেশের সব থেকে প্রাচীন এই দল, সে প্রশ্নও উঠছে রাজনৈতিক মহলে। যদি দল তিন গান্ধীর পদত্যাগ গ্রহণ করে সেক্ষেত্রে দলের নেতৃত্বে তাঁদের স্থানে কাদের কে দেওয়া হবে সে নিয়েও থাকছে রাজনৈতিক উৎকণ্ঠা।

You May Also Like

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *