অনলাইন ডেস্ক, ১২ মার্চ।। সৌদি আরবের ব্লগার রাইফ বাদাউই— কারাদণ্ড পেয়েছিলেন ‘অনলাইনে ইসলাম ধর্মকে অবমাননা’র অভিযোগে। সঙ্গে ছিল এক হাজার দোররার শাস্তি।
অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন বাদাউই, জানিয়েছেন তার স্ত্রী। কানাডা থেকে এএফপি নিউজ এজেন্সিকে এনসাফ হায়দার বলেন, রাইফ আমাকে কল করেছিল।
সে মুক্তি পেয়েছে। ’
এই দম্পতির ঘরে রয়েছে তিন সন্তান। স্বামীর কারাদণ্ডের পর তাদের নিয়ে কানাডা পালিয়ে যেতে হয়েছিল রাইফের স্ত্রী এনসাফকে।
এই ব্লগারকে ৫০টি দোররা বা বেত্রাঘাতে বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছিল। যা সৌদিতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের প্রতীক হয়ে উঠেছিল।
রাইফকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে কোনো কিছু জানায়নি সৌদির কর্মকর্তারা। তবে তার পুত্র তেরাদ টুইট করে, ‘আমার বাবা মুক্ত’।
১ মার্চ শেষ হয় এই ব্লগারের শাস্তির মেয়াদ। তার ওপর ১০ বছরের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
মুক্তি পেলেও তাকে আর কোনো নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হয় কিনা তা এখনো পরিষ্কার নয়।
এনজিও রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস জানায়, নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বে রাইফ পরিবারের সঙ্গে মিলিত হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে কাজ করবে তারা।
৩৮ বছর বয়সী বাদাউই ২০০৮ সালে লিবারেল সৌদি নেটওয়ার্ক নামে একটি ফোরাম প্রতিষ্ঠা করেন। যা সৌদি আরবে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক বিষয়ে বিতর্ককে উৎসাহিত করত। ২০১২ সালে জেদ্দা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ‘অনলাইনে ইসলাম ধর্মকে অবমাননার’ অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে।
গত বছর বিচারক জানান, বাদাউই ধর্মত্যাগের চেষ্টা করেছিলেন। কারণ ‘আল্লাহর কাছে অনুতপ্ত’ হতে অস্বীকার করেন তিনি। দেশটিতে যার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।